জলমহাল ইজারা নিয়ে বড়লেখায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখার সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মজিদ মিয়া ও সার্ভেয়ার শামছুল হুদার বিরুদ্ধে ‘কামড়িখাল জলমহাল’ ইজারা কার্যক্রমে দূরবর্তী সমিতিকে নিকটবর্তী দেখিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে দুইটি ভোক্তভোগি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতিরা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও অভিযুক্তদের দিয়ে পুনঃতদন্ত করানোয় ফের দূরবর্তী সমিতিকে নিকটবর্তী দেখিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অবশেষে ভোক্তভোগি ভাগাডহর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সুধাংশু দাস ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার ইউএনও’র কার্যালয় থেকে উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কামড়িখাল জলমহালটি ১৪৩১ বাংলা হতে ১৪৩৩ বাংলা পর্যন্ত ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ি ইজারা নিতে ভাগাডহর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, কান্দিগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও স্বর্ণালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি আবেদন করে। গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারা গ্রহণে আগ্রহী সমিতিগুলোর কার্যালয়ের জলমহাল থেকে দূরত্ব নিরুপনের জন্য দূরত্ব যাচাই পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মজিদ মিয়া ও সার্ভেয়ার শামছুল হুদাকে দায়িত্ব প্রদান করে। অভিযোগ উঠেছে, তহশিলদার ও সার্ভেয়ার স্বর্ণালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে জলমহাল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার নিকটবর্তী ভাগাডহর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে দূরবর্তী আর জলমহাল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরবর্তী স্বর্ণালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে নিকটবর্তী দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ভোক্তভোগি ভাগাডহর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সুধাংশু দাস ও কান্দিগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ফয়জুল ইসলাম পুনরায় দূরত্ব যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিতে ৩ বৃহস্পতিবার অক্টোবর ইউএনও বরাবর আবেদন করেন।
ভাগাডহর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সুধাংশু দাস জানান, ইউএনও অভিযুক্ত তহলিশদার ও সার্ভেয়ারকে পুনরায় দুরুত্ব যাচাইয়ের দায়িত্ব দেন যা রহস্যজনক। তারা ফের অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে আগের মতোই মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনে এত অফিসার থাকতে অভিযুক্তদের পুনরায় তদন্ত করানো কারণ বোধগম্য নয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিগত ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে জোরপূর্বক যারা কামড়িখাল জলমহালটি দখলে রাখছিল মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে তহশিলদার ও সার্ভেয়ার অবৈধভাবে তাদেরকেই জলমহালটি ইজারা দেওয়ার গোপন চুক্তি করেছে। ইউএনও বরাবর আবেদন করেও প্রতিকার না পেয়ে ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পুনরায় দূরত্ব যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
প্রভাবিত হয়ে দূরত্ব যাচাই প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ অস্বীকার করে সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মজিদ মিয়া ও সার্ভেয়ার শামছুল হুদা জানান, কর্তৃপক্ষ পুনঃতদন্তের দায়িত্বও তাদেরকে দিলে কি করার আছে। যা সঠিক তা-ই তারা জমা দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন