জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সভা : জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার॥ মহাজোট সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে জাতীয় ও জনস্বার্থ উপেক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার স্বার্থে ও পরিকল্পনায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সাম্রাজ্যবাদের দালাল ভারতের স্বার্থে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা শাখা।
১৩ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে জেলা এনডিএফ-এর সভাপতি শহীদ সাগ্নিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা কমিটির নিয়মিত সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়। জেলা এনডিএফ’র সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাসের পরিচালনায় সভার শুরুতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাকুর্লার ও জেলার সাংগঠনিক রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক ডা. অবনী শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল মোহাইমীন, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫-এর মোস্তফা কামাল, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল রিকশা ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ২৪৫৩-এর সভাপতি সোহেল আহমদ, এনডিএফ জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক তারেশ বিশ্বাস সুমন, কোষাধ্যক্ষ শাহিন মিয়া প্রমূখ। সভায় বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রাদয়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও উপসনালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরপরাধ মানুষকে হযরানি না করার দাবি করেন। সভায় এক প্রস্তাবে অতি সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় নাডার প্রভাবে ধলাই নদীর বাধ ভেঙ্গে কমলগঞ্জ উপজেলার নি¤œাঞ্চল বিশেষ করে পতনঊষার, শমসেরনগর, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ প্রদান করার দাবি করেন। সভায় ফেব্রুয়ারী’১৭ মাসে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর ৭ম জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে জেলাগত প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য শহীদ সাগ্নিককে আহবায়ক এবং অমলেশ শর্ম্মা ও মোস্তফা কামালকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
সভা থেকে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল ভারতের সাথে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, শ্রমিক-কর্মচারিদের জন্য বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ ও গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন, ভূমিহীন দরিদ্র কৃষকের হাতে জমি ও কাজ, কৃষি উৎপাদনের খরচ কমানো এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার, ডিজেল. কীটনাশকের দাম কমানোর দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন