জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সৎ আদর্শবান নীতিবান দেশপ্রেমিক মানুষ : এম নাসের রহমান
স্টাফ রিপোর্টার॥ বিগত পনের বছর ধরে আওয়ামীলীগের এই রামরাজত্ব করার পরেও যে ছাত্রদল করো এর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এম নাসের রহমান ছাত্রদলের প্রতিটি নেতা কর্মীদের তোমরা সঠিক পথে আছো বলে মন্তব্য করে বলেছেন,আমরা জাতীয়তাবাদী আদর্শের লোক। আমরা বাংলাদেশী। স্বাধীন বাংলাদেশের বাংলাদেশী আমরা। অথচ আওয়ামী লীগ ইন্ডিয়ার কাছে দেশ বিক্রি করেছে। যে সমস্ত ছেলেরা আওয়ামী ছাত্রলীগ করে এদের কোন চরিত্র নাই। এক মাত্র চরিত্র হীন ছেলেফেলেরা ছাত্রলীগ করতে পারে। কারণ তারার গুরু দেশকে বেচে দিয়েছে ইন্ডিয়ার কাছে। স্বাধীনতার ভুয়া মিথ্যা কথা বলে চিরতরে স্বাধীনতারেই জলাঞ্জলি দিয়েছে। বই পুস্তকে ইসলামের সব কিছু বাতিল করে হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রের সব কিছু ঢুকিয়েছে। ক্লাস ফাইভ সিক্স সেভেন এইটে। সমস্ত হিন্দু শাস্ত্র ভিতরে ঢুকিয়েছে। মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান হয় হিন্দু ব্যক্তি। স্কুল টেক্সবোর্ডের চেয়ারম্যান হয় হিন্দু ব্যক্তি। এগুলো হচ্ছে সমস্ত ভারতের অর্ডারে। কারণ শেখ হাসিনারে বলা হয়েছে তুমি প্রধান মন্ত্রীত্ব চেয়েছো তুমি প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে বসে থাকো। বাকিকাজ আমরা করবো। বাংলাদেশকে কেমনে ভারতীয় বানাতে হবে এটা নিয়ে ইন্ডিয়া কাজ করছে বিগত পনের বছর ধরে।
সোমবার ১ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দ্দানে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের বাড়ীতে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এম নাসের রহমান এসব কথা বলেন। ইফতার ও দোয় মাহফিলে মৌলভীবাজার ও রাজনগর উপজেলাসহ সকল উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।
নাসের রহমান ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এখন দেখছো ভারতীয় পণ্য বয়কটের আন্দোলন চলছে। কিন্তু প্রায় আমাদের সবার বাড়ীতেই ভারতীয় পণ্য আছে। মা বোনদের প্যারাস্যুট নারিকেল তেল আছে। সাবান আছে। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী আছে। কিন্তু এগুলোর সব পণ্য বাংলাদেশেও তৈরি করে। আমাদের সবার মা বোনকে বাড়িতে গিয়ে বলতে হবে প্যারাস্যুট না কিনে বাংলাদেশী পণ্য কিনতে। এখন থেকে আমাদের বাংলাদেশী সকল পণ্য কিনতে হবে।
নাসের রহমান ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমারা তো জিয়াউর রহমান কে দেখনি তার আদর্শ কে দেখে ছাত্রদল করছো। আমরা যারা জিয়াউর রহমান কে কাছে থেকে দেখেছি, জিয়াউর রহমান ছিলেন, আদর্শবান শব্দ টা যদি কারো নামের আগে লিখতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানের জন্য। লিখা যথার্থ ছিল। জিয়াউর রহমান ছিলেন আদর্শবান, নীতিবান, সৎ, দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেমিক হয়তো আওয়ামী লীগের ত্রাতারাও ছিল কিন্তু দেশ চালিয়ে যাবার ক্ষমতা ছিল না।
নেতাকর্মীদের স্মরণ করে দিয়ে নাসের রহমান বলেন, কোন ভদ্র লোক আওয়ামী লীগ করতে পারে না। এটা কিন্তু খুব জ্ঞানী মানুষ আমাকে বলছিলেন। আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগে। ইংরেজিতে বলছিল এ জেন্টেলম্যান ক্যান নেভার বি এ আওয়ামীলীগ। একটা ভদ্র লোক কখনও আওয়ামী লীগার হতে পারে না। একটা ভালো ছাত্র কখনোই ছাত্রলীগ করতে পারে না। ছাত্রলীগের নমুনা দেখেছ না। কি করছে তারা। ওই বুয়েটে ইউনিভার্সিটিতে একশ পারসেন্ট ছাত্ররা রাজনৈতিক চায় না। অথচ ছাত্রলীগের ছেলেরা রাজনীতি জোরে করতে চায়। রাজনীতি মানে কি? ওই যে ছাত্ররা তাদের হাতে মার খাবে। হলের সিট দখল বাণিজ্য করবে। এসবই এদের কাজ। এর চেয়ে এদের কি কাজ আছে। ছাত্র রাজনীতি করতে গেলে আদর্শবান ছাত্র রাজনীতি করতে হবে। কারণ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন সৎ আদর্শবান নীতিবান দেশপ্রেমিক একজন মানুষ ছিলেন। এ আদর্শে সবসময় অবিচল থাকতে হবে। অন্যায় যেখানে হবে সেখানে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর দেশ যাতে ভারতীয় তাঁবেদারী দেশে পরিণত না হয় এর জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হবে। নাসের রহমান বলেন,আমরা তো ৫২ বছর আগে এদেশকে স্বাধীন করিনি ভারতের তাঁবেদারী করা জন্য। ভারতের করদ রাজ্যে আমরা অলরেডি পরিণত হয়ে গেছি। এখন একমাত্র শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমেই আমাদের কেড়ে নেওয়া স্বাধীনতা আবার ফিরে আসবে। কারণ শেখ হাসিনা নামে মাত্র প্রধানমন্ত্রী। আর তার সমস্ত মন্ত্রী আর সরকারি কর্মকর্তারা আছে সব ভারতের তাবেদারিতে। একটা জেলা প্রশাসনে ডিসি এসপি মুসলমান। এডিসি থেকে শুরু করে সব জায়গায় সব হিন্দুদের বসানো হয়েছে। অথচ এদেশে হিন্দু মানুষ হলেন ৭ থেকে ৮ শতাংশ। আর চাকরিতে আছেন তারা ৩০ শতাংশের উপরে। ইন্ডিয়াতে মুসলমান হলেন ২০ শতাংশ। আর চাকরিতে আছেন ১ থেকে দুই শতাংশ। নাসের রহমান বলেন- বিএনপি এদেশের মানুষের হারানো স্বাধীনতা, গনততন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে আনার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে। লক্ষ্যে পৌছাতে আগামীতে আবারো আন্দোলনের ডাকা আসবে সেজন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপনের পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান। এতে আরও অংশ নেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোয়াজ্জম হোসেন মাতুক,মো. হেলু মিয়া, বদরুল আলম, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিসবাহ উর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, মৌলভীবাজার সরকারি করলে ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমেদসহ ছাত্রদলের বিভিন্নস্থরের নেতৃবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে ইফতারের আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া,তাঁর পরিবার, এম সাইফুর রহমানের জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বিকেলে এম নাসের রহমান জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন