জুড়ীতে গার্ল গাইডস সম্প্রসারণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সাইফুল ইসলাম সুমন : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডের কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন জুড়ী উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন জুড়ী উপজেলা শাখার কমিশনার ও মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ঝুলন রানী দেব এর সভাপতিত্বে এবং শিক্ষার্থী ও গার্ল গাইডস লিডার আরিশা রহমান তানিশার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার কমিশনার নুরজাহান সূয়ারা, সাধারণ সম্পাদক মাধুরী মজুমদার, জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসাইন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম (তারা মিয়া মাস্টার), মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, রত্না চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, সাগরনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার, জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতীশ চন্দ্র দাস, নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি দাস, হোছন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরেশ রুদ্র পাল, কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, উত্তর জাঙ্গীরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রানী ভৌমিক, বিশ্বনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দাস, কেবি এহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আম্বিয়া বেগম, আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মুক্তিদত্তা দাস, উত্তর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিশিত চন্দ্র মিত্র, কাপনাপাহাড় চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার নাথ, কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমরজিৎ দাস, মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম, হোসনারা বেগম, শিক্ষার্থী ও গার্ল গাইডস সদস্যা সাদিয়া আক্তার প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, গার্ল গাইডের শিক্ষা ও সেবামূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি গার্ল গাইডের প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। নারীদের দ্বারা পরিচালিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এই গার্ল গাইড, যার মাধ্যমে নানা কর্মসূচি প্রণয়ন করে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা সমাজে যথেষ্ট অবদান রাখছেন।
বক্তারা আরো বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইড চালু রয়েছে তার কার্যক্রম আরো জোরদার করা এবং যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার জন্য আহবান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন