জুড়ীতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে সভাপতি ফয়জুল, সম্পাদক মাজেদুল
হারিস মোহাম্মদ॥ জুড়ীতে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯ এর অন্তর্ভূক্ত উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটের ফলাফলে সভাপতি পদে ফয়জুল ইসলাম (আনারস) পদে ৪৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ শহীদ মিয়া পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট। সহ- সভাপতি পদে মো. তৈয়ব আলী (গরুর গাড়ী মার্কা) ৪৩৩ ও রহমত মিয়া (ঘোড়া মার্কা) ৩৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে মাজেদুল ইসলাম (মই মার্কা) ৩৭৮ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আমির আলী ২৫৩ ভোট পেয়েছেন।
সহ- সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া (আম) ৩৪৫, মো. আজিজুর রাহমান আজিজ (হরিণ মার্কা) ৩০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. এখলাস মিয়া ৩৭০ (বাঘ মার্কা) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সফিকুর রহমান (হাতি মার্কা) ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সঞ্জু কুমার দাস (বোতল মার্কা) ৫৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সজিবুল ইসলাম শাবুর (টিউবওয়েল মার্কা) ৩৫৭ ভোট পেয়েছেন।
প্রচার সম্পাদক পদে সাইদুর রহমান (সিএনজি মার্কা) ৪৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সায়েদ আহমদ(গোলাপ ফুল মার্কা) ৪৭৫ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে বদরুল ইসলাম (ফুটবল মার্কা) ৫৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হোসেন (তালা মার্কা) ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে জহিরুল ইসলাম (একতারা) ৫৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শরিফ উদ্দিন (কলস মার্কা) ৩২৬ ভোট পেয়েছেন। লাইন সম্পাদক পদে কামাল আহমেদ (সেলাই মেশিন) ৪৬৭ ভোট নির্বাচিত করেছেন।
সদস্য পদে জাকির হোসেন (বন্দুক মার্কা) ৩৮৯, লিটন মিয়া ( ঘুড়ি) ৩৭১, জাকির হোসেন (কবুতর) ৩২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর জুড়ী উপজেলায় সিএনজি শ্রমিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে আনন্দিত ছিলেন। নির্বাচনে ১৫ টি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৩৩ জন মোট প্রার্থী।
নির্বাচনে উপজেলার ১২০৯ জন পরিবহন শ্রমিকের মধ্যে ১০৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন।
কার্যকরী কমিটির ১৫ পদের মধ্যে ১৫ টি পদে ভোট গ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৩৯ জন এরমধ্যে ৩৩ জন নির্বাচনের সুযোগ পান।
মন্তব্য করুন