জুড়ীতে ১০ দিনের ব্যবধানে ৫ এনজিও অফিসে চোরের হানা ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আতঙ্ক
আব্দুর রব॥ জুড়ীতে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১০ দিনের ব্যবধানে পাঁচটি ঋণদানকারী এনজিও অফিস একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সঙ্গবদ্ধ চোরেরা হানা দিয়েছে। একটি এনজিওতে ঢুকে চোরেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেধে প্রায় দেড় লাখ টাকা লুট করেছে। তবে কয়েকটি চুরির ঘটনার ভিডিও ফোটেজে চোরদের দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
তাদেরকে সনাক্ত করতে পারেনি। এদিকে চুরির ঘটনায় এনজিও, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে জুড়ী উপজেলা সদরের জাঙ্গীরাই এলাকার ‘আশা’ নামক এনজিও সংস্থার কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে চোরেরা প্রথমেই ম্যানেজার প্রদীপ কুমার সিংহের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ও একজন কর্মচারীর হাতপা বেঁধে ফেলে। পরে অফিসের বিভিন্ন ড্রয়ার ভেঙ্গে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২১০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। একই রাতে পাশের বিল্ডিংয়ের ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ এনজিও অফিসের সিসি ক্যামেরা ও তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে চোরচক্র। প্রথমে ওই বিল্ডিংয়ে বসবাসরত এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েকটি পরিবারের দরজার ছিটকারী বাহির থেকে লাগিয়ে চোরেরা ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ অফিস তছনছ করে। তবে অফিসে কোনো টাকা না থাকায় শেষ পর্যন্ত চোরেরা খালি হাতে ফিরেছে। এছাড়া গত শনিবার জুড়ী নাইট চৌমুহনায় ‘লতিফ এন্টারপ্রাইজ’ নামক
একটি জ্বালানী তেলের দোকানের সাটার ভেঙ্গে চোরেরা প্রবেশ করে ক্যাশবাক্স থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এর আগে জুড়ী ‘ব্র্যাক’ অফিস, পিডিবি কার্যালয়,‘উদ্দীপন’ এনজিও কার্যালয় ও ‘কাল্ব’ কার্যালয়ে চোরেরা হানা দিয়েছে। তবে তারা কত টাকা চুরি হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এনজিও কর্মকর্তা। এদিকে জুড়ীতে ঘনঘন চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ আতংক বিরাজ করছে।
জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন বুধবার সন্ধ্যায় জানান, চুরির ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন