জুড়ী উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে হট্টগোল
December 15, 2024,
সাইফুল ইসলাম সুমন : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে দফায় দফায় হট্টগোল হয়েছে। রোববার ১৫ ডিসেম্বর দুপুর একটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় বিকাল চারটায়। অন্যদিকে, জুড়ীতে এসেও সমাবেশস্থলে যাননি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান।
জুড়ী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু প্রমুখ।
সভা শুরু হওয়ার আগে মঞ্চে উঠাকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু ও জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে সমর্থকদের নিয়ে মঞ্চের একপাশে মাটিতে বসে পড়েন শরিফুল হক সাজু। পরে মিঠুর বক্তব্যের পরে সাজুকে বক্তব্য দেয়ায় আবারো উশৃঙ্খলতা শুরু হয়। মঞ্চে থাকা অতিথিরা বারবার তাদেরকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
অন্যদিকে, জুড়ী শহরে উপস্থিত হয়েও সমাবেশ স্থলে না গিয়ে ফিরে যান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান। স্থানীয় বিএনপির সূত্র জানায়, ব্যানারে অতিথিদের নাম দেয়ার বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে তারা ফিরে যান। অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের ব্যানারও পরিবর্তন করতে দেখা যায়। তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ুন জানান, তারা দু’জন ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় জুড়ী থেকে ফিরে গিয়েছেন এবং জেলা ও উপজেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ আছেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ সন্ধ্যা ছয়টায় মুঠোফোনে জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্টান সংক্রান্ত ব্যস্ততা থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে সময় দিতে পারেননি।
মন্তব্য করুন