জুড়ীতে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ

January 30, 2023,

হারিস মোহাম্মদ॥ জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামের মৃত কটু মিয়ার ছেলে তৈমুছ মিয়ার বিরুদ্ধে একই গ্রামের মোঃ আকমল হোসেনের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জায়াগা থেকে জোরপূর্বক মূল্যবান গাছ কেটে নেয়া এবং তার স্ত্রী, বোনকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে আকমল হোসেন বাদী হয়ে শনিবার ২৯ জানুয়ারি জুড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়,  আকমল হোসেনের নিজ বাড়ি থেকে একটু দূরে টিলায় বনাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ রয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় আশি শতকের জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির কাজগুলো তিনি নিজে দেখাশোনা করেন। শনিবার তিনি এলাকায় না থাকার সুবাদে তৈমুছ মিয়া ও সোহেলের নেতৃত্বে কয়েকজন শ্রমিক ১৫ টি গাছ কেটে ফেলে।

এ সময় আকমল হোসেনের বোন করিমা বেগম ও স্ত্রী পিয়ারা বেগম বাধা দিতে আসলে সোহেল ও শ্রমিকরা তাদেরকে মারধর করে। তাদের নির্যাতনে আহত হয়ে পিয়ারা বেগম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও করিমা বেগমকে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

আকমল হোসেন জানান, তৈমুছ মিয়া এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। সাগরনাল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক থাকার সুবাদে পেশীশক্তি ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। ভয়ে  চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। শনিবার দিনের বেলায় গাছগুলো কাটার পর রাতের আধারে সে ১৪ টুকরা বড় গাছ নিয়ে যায়, যার অনুমানিক বাজার মূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।  বাকি যে গাছের অংশগুলো পড়ে আছে সেগুলো সে আজ রাতেই নিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি জানান, এর আগেও তৈমুছ মিয়া জোরপূর্বক তাদের জায়গার গাছ কেটে নিয়েছেন এবং দুই শতক ধানের জমি দখল করে নিয়েছেন। তখন তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এর কোন প্রতিকার পাননি। আকমল হোসেনের বোন করিমা বেগম জানান,  তৈমুছ মিয়ার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তার নির্দেশে গাছ কাটার সময় সোহেল ও শ্রমিকরা আমাকে নির্যাতন করেছে । আমরা এলাকার শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষ। আমি প্রশাসনের কাছে তৈমুছের জোরপূর্বক গাছ কাটা ও নির্যাতনের বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে তৈমুছ আলী বলেন, আকমল হোসেনের জায়গার সাথে আমারও জায়গা রয়েছে। আমি আমার জায়গা থেকে গাছ কেটেছি। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বলেন, আমি সোমবার  তদন্ত করে গাছ জব্দ করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com