জুড়ীতে কাষ্টমসে জমা না দিয়েই একটি বড় মহিষ ব্যাটালিয়নে পাঠালো বিজিবি
আল আমিন আহমদ॥ জুড়ী সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক আটক ভারতীয় মহিষ-গরুর চালানের বড় একটি মহিষ কাষ্টমসে জমা না দিয়েই ব্যাটালিয়নে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোরবেলা শিলুয়া ও মোকামবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় অবৈধ মহিষ পাচারকালে মোকামবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তিনটি মহিষ ও একটি গরু আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার শিলুয়া ও মোকামবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় অবৈধ মহিষ ও গরুর চালান প্রবেশের গোপন সংবাদে মোকামবাড়ি বিজিবি সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোরে তিনটি মহিষ ও একটি গরু আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। দুপুরের দিকে বিজিবি সদস্যরা বড় একটি মহিষ কাষ্টমসে জমা না দিয়ে স্থানীয় একটি পিকআপ ভ্যানে বিজিবি ৫২ (বিয়ানীবাজার) ব্যাটালিয়নে পাঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের আটক মহিষ ও গরুর নিলাম কার্য স্পটে সম্পাদন করার নিয়ম রয়েছে। ব্যবসায়ীরা তিনটি মহিষ ও একটি গরু নিলামে বিক্রির খবর পেয়ে মোকামবাড়ী ক্যাম্পে গিয়ে দুইটি মহিষ ও একটি গরু দেখে বিস্মত হন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী ও বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডারের মধ্যে মতনৈক্য দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কাষ্টমস কর্মকর্তা নিলাম বাতিল করে ফিরে যান। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকেই জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ৪০-৫০ টি অবৈধ মহিষের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মোকামবাড়ি বিজিবি সীমান্ত এলাকা থেকে ৩টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করে। কিন্ত ক্যাম্পে ২টি মহিষ নিলামের জন্য রেখে বড় মহিষটি বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নে পাঠিয়ে দিয়েছে। যার বাজার মূল্য দেড় লাখের নিচে নয়।
এদিকে একই দিন শিলুয়া বিজিবি সীমান্ত এলাকা থেকে ৪টি ভারতীয় মহিষ আটক ও একটি বাজাজ মোটরসাইকেল (মৌলভীবাজার-ল-১১-০৬৫১) জব্দ করে। বিকেলে ক্যাম্পে মহিষগুলো নিলামে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে জুড়ী কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ। আটক মোটরসাইকেল কাষ্টমসে জমা দেয় বিজিবি। এছাড়া শুক্রবার সকালে জুড়ী থানায় পুলিশের আটক করা দুইটি ভারতীয় অবৈধ মহিষ নিলাম করে কাষ্টমস।
আটক বড় একটি মহিষ ব্যাটালিয়নে পাঠিয়ে দেওয়ার বিয়য়ে জানতে চাইলে বিজিবি’র মোকামবাড়ি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার সোলেমান জানান, তিনি কোন বক্তব্য দিবেন না। বিস্তারিত জানতে হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।
জুড়ী কাষ্টমস অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সজিব পাল জানান, মোকামবাড়ি ক্যাম্পে ২টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ ও একটি গরু নিলামের জন্য সিজার লিস্ট পান। বিজিবি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে তিনি নিলাম কাজ বন্ধ করে ফিরে আসেন।
মন্তব্য করুন