জুড়ীতে কৃষিকাজে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জুড়ী উপজেলায় আমন ধান কাটা ও মাড়াই উৎসবে মেতেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের পাশাপাশি দিনমজুর শ্রমিকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এবার কৃষিকাজে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার।
উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে রোপা আমন চাষের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ায় রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের খুব ভালো ফলন হয়েছে।
প্রত্যাশার তুলনায় বেশি ধান ঘরে তুলছেন কৃষকরা। বিভিন্ন কারণে ধান বিনষ্ট হওয়ারও কোনো খবর পাওয়া যায়নি এবছর। তাই এবছর চাষিরা আপন ধানে পরিতৃপ্ত। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি আমন মৌসুমে ৮ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষে ৩৭ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে জুড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই কম হওয়ার চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পশ্চিম জুড়ী, পূর্ব জুড়ী, গোয়ালবাড়ী, জায়ফরনগর, সাগরনাল ফুলতলাসহ যেসব ক্ষেতের ধান কাটার জন্য উপযুক্ত হয়েছে, সেসব জমিতে শ্রমিক নিয়ে ধান কেটে তা মাঠে শুকানোর জন্য ফেলে রেখেছেন। শুকানো হলে সেগুলো আঁটি বেঁধে গৃহস্থের গোলায় তুলতে সেগুলো মাড়াই করছেন। এবার সন্তোষজনক ফলন পাবেন বলে কৃষকদের আশা।
উপজেলার ফুলতলা এলাকার বর্গাচাষী আপ্তার মিয়া জানান, কৃষক ও কৃষি-শ্রমিকরা আনন্দচিত্তে আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকের ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আবার বহু জমিতে এখনও ধান কাঁচা রয়ে গেছে। জায়ফরনগর ইউনিয়নের কৃষক সামছুল ইসলাম বলেন, জুড়ীতে এবার চাহিদাতিরিক্ত ধান উৎপন্ন হয়েছে। কৃষকরা যাতে সরকারের নিকট ধান বিক্রি করতে পারে এবং ন্যায্য মূল্য পায় সেদিকে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এবছর জুড়ীতে ৮ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৪৬ হাজার মেট্রিক টন। তবে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। ধান ক্রয়ের জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হবে। তবে এবার কৃষিকাজে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, ফলে উৎপাদন ব্যয় কমেছে।
মন্তব্য করুন