জুড়ীতে ঘুষ না দেয়ায় চা শ্রমিকদের বরাদ্দের তালিকা গ্রহণ করেননি সমাজ সেবা কর্মকর্তা
আল আমিন আহমদ॥ ঘুষের টাকা না দেয়ায় চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের বরাদ্দের তালিকা গ্রহণ করেননি জুড়ী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা। এর প্রতিকার চেয়ে জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাপনা পাহাড় চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির চা শ্রমিকবৃন্দ।
শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে চা শ্রমিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাপনা পাহাড় চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি প্রমেশ বাউরী চা শ্রমিকদের উপস্থিতে অভিযোগ করে বলেন, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত কয়েক বছর থেকে সরকার চা শ্রমিকদেরকে এককালীন আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে জুড়ী উপজেলার চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে আসছে। উপজেলার অন্যান্য বাগানের মতো কাপনা পাহাড় চা বাগানের শ্রমিকদের তালিকা চান জুড়ী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাকেশ পাল। সমাজ সেবা কর্মকর্তার লিখিত চিঠির ভিত্তিতে ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে তালিকার ফরম সংগ্রহ করি। গত কয়েক দিন আগে সমাজ সেবা কর্মকর্তা আমাকে জানান, খরচ বাবত ৫০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য। সে টাকা দিতে না পারলে তিনি অনুদান দেবেন না। কাপনা পাহাড় চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির বর্তমান সভাপতি হিসেবে গত রোববার ৫ সেপ্টেম্বর চা শ্রমিকদেরকে নিয়ে সরকার ঘোষিত প্রশিক্ষণ শেষ করি। গত বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর তালিকা নিয়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি টাকার বিষয় জানতে চান। আমি টাকা না দেয়ায় তিনি তালিকা জমা রাখেন নি। আমি বাগান পঞ্চায়েত কমিটির বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি হওয়া সত্বেও আমার তালিকা গ্রহণ না করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও চা বাগানের ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে অন্য একটি তালিকা তৈরি করেন। ঘুষ না দেয়ায় ২শত ২৪জন চা শ্রমিকের জন্য সরকার ঘোষিত তাদের জীবনমান উন্নয়নের অনুদানের টাকা তিনি অন্যত্র দেয়ার পায়তারা করছেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চা শ্রমিক সভাপতি প্রমেশ বাউরী জানান, ঘুষ চাওয়ার সময়তো কেউ প্রমাণ রাখার সুযোগ দেয় না।
এসময় চা শ্রমিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বজিৎ বাউরী, কমলা বাউরী, যোগেশ নির্মল, লোকনাথ রিকমুন, সবিত্রা বাউরী প্রমুখ।
এ বিষয়ে কাপনা পাহাড় চা বাগান ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, অবসর জনিত কারণে প্রমেশ বাউরী সভাপতিত্ব করতে পারেনা।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাকেশ পাল’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এর কোনো প্রমাণ কি তাঁরা দিতে পারবে?।
মন্তব্য করুন