জুড়ীতে টানাবৃষ্টিতে বাড়ছে বন্যার পানি : ১২ গ্রাম প্লাবিত
আল আমিন আহমদ॥ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য থেকে জুড়ী নদী হয়ে নেমে আশা ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ১০ গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এতে জনজীবন বিপরযস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর পারের সোনাপুর, বেলাগাঁও, শাহপুর, নিশ্চিন্তপুর, প্রহল্লাদপুর, ইউসুফ নগর, নয়াগ্রাম ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর, খাগটেকা, কালনীগর, বনগাঁও ও কৃষ্ণনগর গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ১২ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। অনেক গ্রামের রাস্তা ঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাঁশের সাকো তৈরি করে এবং নৌকায় চড়ে পাড়াপড় হচ্ছেন। নলকুপ তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হতে পাড়ে মানুষ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে গুখ্যাদ্যের সংকট। ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে শতাধিক মৎস খামার। অনেক খামারি পুকুর পাড়ের চারদিকে প্লাস্টিকের নেট দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে বেলাগাঁও গ্রামের রেললাইন সংল্গন একটি পিডিপির বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়েছে। বিদ্যুতের তার পানিতে পড়ে যাওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
জায়ফরনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, টানা বৃষ্টির কারনে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় বেলাগাঁও ও সোনাপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক বাড়ী প্লাবিত হয়েছে। অনেকের ঘরের বিতরে পানি প্রবেশ করায় তাঁরা মাচা তৈরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে রয়েছেন।
জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি বন্যা কবলিত বেলাগাঁও সোনাপুর শাহপুর গ্রাম ও গৌরিপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাদ পরিদর্শণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ খবর নিয়েছেন।
পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনফর আলী বলেন, যে কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন