জুড়ীতে ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু বৃদ্ধ ও শিশুরা

January 12, 2023,

হারিস মোহাম্মদ॥ সীমান্তবর্তী উপজেলা জুড়ীতে ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। হিমালয় থেকে আসা শীতল বাতাস ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রদেশ করায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।

জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, খিচুনি, শ্বাসকষ্ট রোগে কাবু হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীত বাড়ার সাথে সথে জুড়ী সরকারি হাসপাতালে বৃদ্ধ ও শিশু রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। বুধবার ১১ জানুয়ারি জুড়ী উপজেলা সরকারি হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অধিকাংশ বেডেই কৃদ্ধ ও শিশুরা ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধিকাংশই বৃদ্ধ ও শিশু ।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে থাকা স্বজনেরা জানান, গ্রামে শীতের প্রকোপ বেশী। শীতের শুরুতে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, খিচুনি, শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। রোগীর সাথে থাকা স্বজনদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। ফলে তাদেরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতালে সব ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও অভিভাবকদের বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

বেলাগাও গ্রামের মোঃ ফুল মিয়া (৬৫) জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে শ্বাস কষ্টে ভুগছেন । তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মতো আরও অনেক রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও একই গ্রামের ১০ মাসের শিশু মাঈশা, ৩ মাসের শিশু আফসানা, দক্ষিণ সাগরনালের ১১ মাসের শিশু নাঈম, ১ মাসের শিশু নয়া গ্রামের মরিয়ম, বাছিরপুর গ্রামের ২ মাসের শিশু  পরম বৈদ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তাদের মতো আরও অসংখ্য শিশু ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,   ১২০ শয্যার জুড়ী উপজেলা হাসপাতালে শীত পড়ার পর থেকে দৈনিক প্রায় চিকিৎসাধীন ছিল ১৬০ জন শিশু। এ সপ্তাহে দৈনিক চিকিৎসা নিচ্ছে ১৮০ জন শিশু ও বৃদ্ধ। ওয়ার্ড ছাড়াও বর্হিবিভাগে দিনে চিকিৎসা নিচ্ছে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী।

জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ মুঠোফোনে জানান, শীতকালে শিশুদের ঠান্ডাজনিত সাতটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বয়স্ক লোকেরাও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন। শীতজনিত এসব রোগ থেকে বাঁচতে শিশুদের পাতলা পায়খানা বা বমি  হলে ডিম ও দুধ খাওয়ানো যাবে না। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাতে হবে।

পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। ধোয়া ও ঠান্ডা থেকে দুরে রাখাতে হবে। বয়স্কদের প্রতিও অভিভাবকদের বিশেষ নজর রাখতে হবে। সবসময় গরম কাপড় পরিধানসহ পানি গরম করে গোসল এবং আহারের পর কুসুম গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com