জুড়ীতে বিক্রয়কৃত ভূমি লীজ হস্তান্তর না করে টাকা আত্মসাতের পায়তারা
আল আমিন আহমদ॥ জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের মন্ত্রীগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ তারা মিয়ার ক্রয়কৃত লীজ ভূমি হস্তান্তর না করে লীজকৃত ভূমি বিক্রেতা গোয়ালবাড়ী গ্রামের নিমার আলীর পুত্রগণ কামাল উদ্দিন ও আজির উদ্দিন গং ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের পায়তারা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং মন্ত্রীগাঁও গ্রামের আব্দুল জব্বারে ছেলে মোহাম্মদ তারা মিয়া এক খানা ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে গোয়ালবাড়ী গ্রামের নিমার আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন কে প্রথম দফায় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিম্ন তফসীল বর্ণিত জেলা: মৌলভীবাজার, থানা: জুড়ী, মৌজা : মন্ত্রীগাঁও, জেএল নং ১৬৪/৭৩, খতিয়ান নং২২৯/১. দাগ নং২৫৬/৩২৩ সাইল রকম ০.৪১ শতাংশ ভুমি বন্ধক নেন।
পরবর্তীতে বিগত ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ইং ১শত টাকা মূল্যের ৩টি ষ্ট্যাম্পে এক খানা ভূমি হস্তান্তর বায়নামা পত্রে ২য় দফায় কামাল উদ্দিন প্রবাসে থাকাবস্থায় তাহার স্ত্রীকে প্রবাসে নেওয়ার উপলক্ষে টাকার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় মোহাম্মদ তারা মিয়ার নিকট হইতে উক্ত ভূমি লীজ বিক্রি বাবত কামাল উদ্দিনের পক্ষে তার ভাই আজির উদ্দিন নগদ আরও ২ লক্ষ টাকা সমজিয়া নিয়া স্বাক্ষীগনের সম্মুখে লীজকৃত ভূমি মোহাম্মদ তারা মিয়ার নিকট দখল সমজাইয়া দেন এবং লীজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। এছাড়াও প্রবাসী কামাল উদ্দিন দেশে এসে লীজ হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়ে তার ভাই আজির উদ্দিন ৩য় দফায় মৌখিক ভাবে স্বাক্ষীগনের সম্মুখে আরও ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিন উল্লেখিত স্বাক্ষীগনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিগত ২০১৬ ইং সাল হইতে মোহাম্মদ তারা মিয়া উক্ত ভূমি দখলে বিদ্যমান থাকিয়া মাটি ভরাট করিয়া একটি দোকান ঘর নির্মান সহ কৃষি কাজ করছেন।
ভূক্তভোগি মোহাম্মদ তারা মিয়া সামাজিকভাবে লীজ হস্তান্তরের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিগত ১ জুলাই ২০১৯ ইং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, মৌলভীবাজার বরাবর কামাল উদ্দিন গং দের কে বিবাদী করে মামলা নং (সি আর ৫৪/২০২১)(জুড়ী) দায়ের করেন।
বায়নামা পত্রের ৩নং স্বাক্ষী গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যোগীমূড়া গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি মো. জমসেদ আলী বলেন,পুলিশ তদন্ত কালে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে একটি নির্ধারিত ফরমে কিন্তু আমার দেয়া বক্তব্য না লিখে অন্য একটি সাদা কাগজে তিনি মনগড়া বক্তব্য লিখে আদালতে জমা দিয়েছেন।
বাদী অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিবাদীদের প্ররোচনায় আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। পুলিশের মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের কারনে আদালত মামলা খারিজ করে। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি প্রকাশ করে ন্যায় বিচারের স্বার্থে জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মৌলভীবাজার বরাবর ফৌ: ২৭ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে মোশন মামলা নং ৭৭/২০২১ইং দায়ের করি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন মোহাম্মদ তারা মিয়া।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন,মামলার বাদী তারা মিয়ার নিকট থেকে ভূমি বন্ধক বাবত ৪০ হাজার টাকা নেন।বেশ কিছুদিন পরে আরও ২ লক্ষ টাকা ধার সহ মোট ২লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আজির উদ্দিন নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ টাকা ফেরত প্রদানের চেষ্টা করলে তারা মিয়া গ্রহন করে নি। অভিযুক্ত বিবাদী আজির উদ্দিন এর সাথে বেশ কয়েকদিন থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন