জুড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জুড়ীতে বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গিরাই গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের মেয়ে পারভীন বেগম (৫৩)। বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে জুড়ী মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার আনুমানিক ২২ বছর পূর্বে বেলাগাওঁ গ্রামের কন্টিনালা এলাকায় ১১ শতক জমি ক্রয় করেন। আমার পিতা সরকারি চাকুরী করায় এবং পরিবারের সবাই ঢাকায় বসবাস করায় উক্ত ভূমি আমার মামা মৃত চারু মিয়াকে দেখা শোনা করার দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে কিছু দিন পর আমার মামা মৃত চারু মিয়া উক্ত ভূমিতে একটি ঘর নির্মাণ করেন এবং আমার পিতার নিকট অঙ্গিকার করেন আমরা বাড়িতে আসা মাত্র উক্ত জায়গার দখল ছেড়ে দিবেন।
আমার পিতা আনুমানিক ১৪ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে আমার মামা চারু মিয়া মৃত্যুবরণ করার পরও আমার মামাত ভাইয়েরাও ভূমিতে বসবাস করে আসছে। এরমধ্যে আমাদের পরিবারের সকলেই ঢাকায় বসবাস করায় বিবাদীগণ মৃত চারু মিয়ার সন্তানরা সুহেল মিয়া (২৭), রেশমা বেগম (২৯) স্বামী-উসমান মিয়া, সাহেরা বেগম (৫৫) স্বামী-মৃত চারু মিয়া, লিটন মিয়া (৩৮) পিতা-মৃত চারু মিয়া আমাদের অগোচরে এ ভূমিতে জোর একটি বিল্ডিং নির্মানের কাজ শুরু করেন।
আমি বিবাদীদেরকে বিল্ডিং নির্মান করতে বাঁধা দিলেও তাতে তারা কর্ণপাত না করে বিল্ডিং এর কাজ অব্যাহত রাখেন। পরে নিরুপায় হয়ে আমরা জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বিবাদীগণ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। আমার বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। তিনি দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
একজন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বীর নিবাস পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু আমাদের জায়গাটি দখল হয়ে যাওয়ায় বীর নিবাস তৈরীর বিষয়টি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা আমার বাবার ক্রয় করা জমিটি উদ্ধারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের মেয়ে পান্না আক্তার, রেহেনা আক্তারের ছেলে রায়হান আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়া প্রমুখ। অভিযোগের আলাপকালে লিটন মিয়া বলেন, বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বলেন, এবিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় হবে।
মন্তব্য করুন