জুড়ীতে রিকশা চালককে পিটানো সেই মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জেলার জুড়ী উপজেলায় এক অসহায় রিক্সাচালককে পেটানোর মামলায় আদালত মানিক মিয়া নামের এক যুবককের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মিছবাহুর রহমান এ আদেশ জারি করেন।
জানা যায়, গত বছরের ৪ মার্চ রাতে এক রিক্সাচালককে পেটানোর দায়ে মানিক মিয়াকে জুড়ীবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে বের হয়ে সে দুবাই পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতের এমন আদেশে খুশি নির্মম নির্যাতনের শিকার রিক্সা চালকের পরিবার। তারা চায় দ্রুত সন্ত্রাসী মানিকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবে আদালত। মানিক উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের আলফাজ আলীর ছেলে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিক্সাচালক সফিককে বিদেশে নেয়ার কথা বলে রোজিনা বেগম নামের এক মহিলা দুই লক্ষ টাকা নেন। টাকা নেয়ার পর বিভিন্ন তাল-বাহানা দেখিয়ে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন তিনি। টাকার জন্য চাপ দেয়ায় গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রোজিনা বেগমের চাচাতো ভাই মানিক ও তার ভাই আলমগীর রিক্সাচালক সফিককে ঘর থেকে জোরপূর্বকভাবে ধরে নিয়ে কন্টিনালা এলাকায় এলোপাতাড়ি মারধর করে। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই দিন সফিককে মারধর করার পাশাপাশি তার মা ও স্ত্রীর ওপর হামলা করে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।
পরে এ ঘটনায় রিক্সাচালক সফিক ২০২১ সালের ৪ মার্চ জুড়ী থানায় তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রধান আসামী মানিককে গ্রেফতার করে।
মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের এপিপি এডভোকেট বাসুদেব ভট্টাচার্য মানিকের বিরুদ্ধে আদালতের ওয়ারেন্টের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছু দিন আগে এ মামলার দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। রবিবার আরো দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। আগামী কিছুদিনের মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় প্রদান করবে আদালত। আমরা আশা করি মামলার প্রধান আসামি মানিক মিয়া সহ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন এ বিজ্ঞ আদালত।
মন্তব্য করুন