জুড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ, স্ত্রী পরকিয়ায় করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট
আল আমিন আহমদ॥ জুড়ীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ
তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্মান বিনষ্টের অভিযোগ করেন।
শনিবার ১ অক্টোবর সকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে দেশ ও দলের জন্য গত উপজেলা সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেন। গোটা সিলেট অঞ্চলে আমা হিসেবে এক নামে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। আমার পিতা ও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। পিতার আমল থেকে মহালদারি ব্যবসার সাথে আমি জড়িত। গোটা সিলেট বিভাগে আমার পারিবারিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সুনাম রয়েছে।
বিগত ২০০২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী কুলাউড়া উপজেলার আমতৈল গ্রামের মোবারক আলীর কন্যা শিরিন আক্তার এর সাথে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হই। আমাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর পিতা তথা আমার শ্বশুরের আর্থিক অবস্থা নাজুক হওয়াতে বিবাহের পর হতে অদ্যাবধি আমি তাদের পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে যাই। ভাই বোনদের মধ্যে অনেকেরই লেখাপড়া ও বিবাহে খরচাদি দিয়ে যাই। এক ভাইকে বিদেশ যাবার সময় নগদ টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করি। আরেক ভাইকে নিজ এলাকা ফুলতলা চা বাগানে চা ঘর বাবু পদে চাকুরির ব্যবস্থা করে দেই। আমার নিজের টাকা দিয়ে তার পিত্রালয়ে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেই এবং তাদের বাড়ীর পাশেই তার আপন চাচার নিকট হইতে ৫ শতক জমি কিনে দেই। এখন ও যার দলিল রেজিঃ বাকি রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাকে অনেক টাকার স্বর্ণালংকার কিনে দেই। আমার অজান্তে সে এগুলো বিক্রি করে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। বাসা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বার বার পরকিয়ায় লিপ্ত থাকার কারণে বার বার ক্ষমা চাইলে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেই। আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে সে একেরপর এক খারাপের দিকে পরিণত হয় এবং অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ধরা পড়লেই সে সিনেমার নাটকে মতো অভিনয় শুরু করে। আমাকে জবাব দিতে না পেরে আমার বাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা চালায়।
আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। আমি উপজেলা সদরের বাসা থেকে প্রায় সময় অনেক দুরে নিজ বাড়ীতে থাকি। এমতাবস্থায় সে আমার বাসায় থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ব্যবসায়ীক লেনদেনের আমার স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্প নিয়ে বাসা থেকে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে সিলেটে অবস্থান করে। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ইং সে আমাকে তালাক প্রদান করে। এর ৫ মাস পর ২৯ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করে আমি ২০ লক্ষ টাকা দাবী করেছি। অথচ তার সাথে সংসার চলাকালে তার ও তার পরিবারে সবমিলিয়ে আমার প্রায় অর্ধ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করিলে আদালত আমাকে জামিন প্রদান করেন।
আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির সুনাম বিনষ্টের হীন মানষে সে নিজে তালাক প্রদানের ৫ মাস পর একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করে। একজন রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির প্রতিপক্ষ থাকাটা স্বাভাবিক। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আমার স্ত্রী মিথ্যা মামলা ও গণমাধ্যম কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞ আদালত আমার অবস্থান বিবেচনা করে আইনজীবিদের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য মৌখিক ভাবে আহ্বান করিলে সে তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করছে না। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার ছিল। আমি এই দিন আদালতে উপস্থিত হতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে আবার ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। পরদিন আদালতে হাজির হলে আদালত আমাকে জামিন প্রদান করেন। আমি তার দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও সকল অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।
মন্তব্য করুন