জুড়ীর ফুলতলা ইউপি নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি কে হাসবেন বিজয়ের হাসি?
হারিস মোহাম্মদ॥ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার । এ নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্ঘুম প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থী ওসমর্থকেরা।
কে হাসবেন শেষ হাসি, এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। চায়ের কাপে, হাটে বাজারে নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। মাঠে প্রার্থী ও সমর্থকরা সরব থাকলেও ভোটাররা রয়েছেন নিরব।তারা এবার কারো কথায় ভোট দেবেন বলে মনে হয়না। ভোটাররা বিচার বিশ্লেষণ করে যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শেষ মুহূর্তে শীতকে উপেক্ষা করে গভীর রাত অবধি প্রার্থীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয়ের পাশাপাশি নির্বাচিত হলে কি কি উন্নয়ন করবেন তা তুলে ধরছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন-আওয়ামীলীগের মনোনীত মাসুক আহমদ (নৌকা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আলিম সেলু (ঘোড়া)। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা মিয়া (আনারস)।
বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাসুক আহমদ আবারো চেয়ারম্যান হতে মরিয়া। ইতিমধ্যে ভোটের মাঠে তাকে জেতাতে উপজেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জোর প্রচারণা চালিয়েছেন। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আলিম সেলু ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফয়াজ আলীর ভালো ইমেজকে কাজে লাগিয়ে তিনি চমক দেখালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া করোনাকালে হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করায় তিনিও রয়েছেন সুবিধা জনক অবস্থানে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৫৬। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হলো ১১টি।
২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সরেজমিনে ফুলতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাসহ চা-বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। তবে প্রথমবারের মতো ইভিএম ভোট হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চা বাগানের সাধারণ ভোটাররা ইভিএমে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। তবে উপজেলা নির্বাচন অফিস ইতিমধ্যে দুই দিনব্যাপী ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইভিএমে ভোটভীতি অনেকটা দূর করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিস।
আলাপকালে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ জয় পাওয়ার বিষয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। তবে তারা সকলেই সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মন্তব্য করুন