জুড়ী কন্টিনালা নদীর গরেরগাঁও-বেলাগাঁও রাস্তায় ভাঙ্গন, দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ
হারিস মোহাম্মদ॥ জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা সেতুর পশ্চিম পাড়ের গ্রামীন রাস্তাটি গরেরগাঁও বেলাগাঁও সোনাপুর হয়ে রাবার ড্যাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ওই রাস্তার গরেরগাঁও অংশে শনিবার ২৫ মার্চ হঠাৎ ফাটল দেখা দেয়। তিন চার দিনের ব্যবধান ফাটলটি বড় হয়ে নদীর নীচের দিকে ভেঙ্গে যেতে থাকে।
রাস্তায় ফাটল ধরে দেবে যাওয়ার ফলে রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী। রাস্তার পাশে নির্মিত মার্কেটসহ কয়েকটি স্থাপনা হুমকির মূখে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে যেকোন মুহূর্তে স্থাপনাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন।
কণ্টিনালা নদীর ভাঙ্গনে এ রাস্তা বিলীন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বসতভিটা ও দোকানপাট। ফাটল অংশ দেবে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেকোন সময় দূর্ঘটনার আশংকায় প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীর।
গরেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা জুড়ী উপজেলা আওয়ালীগ সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন চিকন জানান, ২০১২-১৩ অর্থ বছওে জুড়ী নদীর পাশ ঘেষা কন্টিনালা সেতু হতে রাবার ড্যাম পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার একটি অংশ পাকাকরণ করা হয়। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে রাস্তাটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙ্গন বেড়েই চলেছে।
এই রাস্তা দিয়ে গরেরগাঁও, বেলাগাঁও ও সোনাপুর গ্রামের প্রায় ৪-৫ হাজার লোকের যাতায়াত রয়েছে। বর্তমান সময়ে হাকালুকি হাওরের রোপনকৃত মিষ্টি কুমড়া, আলু, বাদাম, সরিষা ভূট্টাসহ বিভিন্ন রবিশস্য এ রাস্তা দিয়ে পরিবহন করতে হয়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস ও প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস রাস্তার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, রাস্তার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গনের বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন এমপিকে অবগত করেছেন। জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করে দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন