জুড়ী গুদাম সড়ক কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে, যান চলাচলে দূর্ভোগ

April 1, 2023,

হারিস মোহাম্মদ॥ জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের গুদাম রোডের সড়কটি গাছ ফেলে কাঠ ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীসহ যান চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়কটি দিয়ে জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। গুদাম রোডের সড়কটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি। একসময় কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইন দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেন সমূহ যাত্রা বিরতির জন্য এখানে আনা হতো।

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওয়াগণ যোগে মালামাল এনে পাশের গুদামে রাখা হতো। ২০০২ সালের ৭ মে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে গুদামঘর সহ এই রেল লাইনটি ব্যবসায়ীরা গাছ ফেলে দখল করে রাখে।

শুক্রবার ৩১ মার্চ সারাজমিনে গেলে গাছ ফেলে পুরো এলাকাটি দখল করে রাখার দৃশ্য চোখে পড়ে। এছাড়াও জাফরনগর ইউনিয়নের শিশু পার্ক সংলগ্ন জাইকা সেতু হতে জুড়ী নদীর পাড়ের রাস্তাটি আবারো বে-দখল হয়ে গেছে। রাস্তার উপর বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে ও গাছ ফেলে দখল করে নেওয়া হয়েছে।

জুড়ী উপজেলার সাবেক ইউএনও বর্তমানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অসিম চন্দ্র বণিক ২০১৭ সালের ০২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত জুড়ীত দায়িত্বরত ছিলেন। সে সময় তিনি জুড়ী শহর কে সাজাতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

এর মধ্যে ঐতিহ্য হারানো কামিনীগঞ্জ বাজার ফুটপাত মুক্ত, চৌমুহনী থেকে জুড়ী নদী পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল খননের মতো কাজের পরিকল্পনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

সে সময় খাল খনন ও জুড়ী নদীর দুই পাড় উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তাকে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। জুড়ী থাকে তার বদলির পর প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় আবারো বে-দখল হয়ে গেছে জুড়ী নদীর পার সহ গুদাম রোডের সড়কটি।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন  নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জুড়ী নদীর পাড়ের বেদখল হয়ে যাওয়া রাস্তা ও গুদাম রোডের সড়কটি দখল মুক্ত করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয় হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com