জুড়ী নদীর পাশে রাস্তায় ফাটল, জনমনে আশংকা
আল আমিন আহমদ॥ জুড়ী কন্টিনালা হতে রাবার ড্রাম পর্যন্ত রাস্তার একটি অংশে ভাঙ্গনের ফলে জুড়ী নদীতে রাস্তা বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী।হুমকির মূখে রয়েছে স্থাপনা, পাশাপাশি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
জুড়ী নদীর ভাঙনে এ রাস্তা বিলীন হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কয়েকটি গ্রামের বসতভিটা ও দোকান। নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার আশংকায় বেলাগাও,সোনাপুর গ্রামের একমাত্র এ রাস্তাটি। যেকোন সময় দূর্ঘটনার আশংকায় প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটছে গ্রামবাসীর দিন।সাময়িক ভাবে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।
বেলাগাও,গরের গাও গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ২০১২-১৩ সালে জুড়ী নদীর পাশ ঘেষা কন্টিনালা হতে রাবার ড্রাম পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার একটি অংশ পাকাকরন করা হয়। গত শনিবার বেলাগাও গ্রামের সম্মুখস্থান গরেরগাঁও গ্রামের এলাকার একটি অংশে রাস্তায় সামান্য ভাঙন দেখা দেয়।
ভাঙন রোধের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মঙ্গলবার ২৮ মার্চ পর্যন্ত ভাঙ্গন বাড়তে থাকে।এতে রাস্তার অংশটি যেকোন সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার শংকায় রয়েছেন।এই রাস্তা দিয়ে গরের গাঁও গ্রামের কিছু সংখ্যক, বেলাগাও ও সোনাপুর গ্রামের প্রায় ৪-৫ হাজার লোকের বসবাস।
হাকালুকি হাওরে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলাচল করে। বর্তমান সময়ে হাকালুকিতে চাষ কৃত মিষ্টি কুমড়া,আলু,বাদাম, ভূট্রা সহ কৃষিপন্য পরিবহনের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়।গাড়ি চলাচল করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে করে রাস্তার ভাঙ্গনের পাশাপাশি মানুষের বসতবাড়ি ও কয়েকটি দোকান বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বিলীন হলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে এসব এলাকার মানুষের। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে অনেক কৃষক।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার মধ্যে বড় ফাটল দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুর রহমান, খাইরুল ইসলাম জানান, গত শুক্র, শনিবারে সামান্য ফাটল দেখা দেয়। এরপর এসব এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হওয়ার কারনে মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি গাড়ি চলাচলের কারনে ফাটল বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবার রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রন্জন চন্দ্র দে, প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, আমি ও ইউএনও স্যার রাস্তাটি দেখে এসেছি। দ্রুত একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তবে নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প প্রয়োজন। সেটির জন্য ও আমি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছি।
মন্তব্য করুন