জেলা আইনজীবী সমিতির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনানুষ্টানঃ প্রধান অতিথি হিসাবে আসছেন মান্যবর প্রধান বিচারপতি মিঃ জাস্টি স সুরেন্দ্র কুমার সিনহাঃ জেলা বারে সাজ সাজ রবঃ আদালত আঙ্গিঁনায় উৎসবি আমেজ॥
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ সাতই সেপ্টেম্বর বিস্যোদ বার সকাল দশটায় মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির একনম্বর ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনানুষ্টান। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের মহামান্য প্রধান বিচারপতি বৃহত্তর সিলেট-বাংলাদেশের গর্ব ও গৌরব ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজার জেলার সু-সন্তান মিঃ জাস্টিস সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এই শুভানুষ্টানকে কেন্দ্র করে জেলা বারে সাজ সাজ রব এবং আদালত আঙ্গিঁনায় উৎসবি আমেজ বিরাজ করছে। জেলা আইনজীবী সমিতির দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে আইনজীবী সমাজ আবেগ আপ্লুত। আনন্দিত। জেলা বারের একনম্বর ভবনটি জীর্ন। শীর্ন। পূরাতন। বিজ্ঞ সদস্যদের বসার স্থান সংকুলান হয় না। এই নিয়ে বিগত দিনে জেলা বার ভবন নির্মানের জন্য একটি বহুতল ভবনের প্ল্যান-এস্টিমেট করা হয়। নির্ম্মান ব্যায় বিরাট অংকের কোটি কোটি টাকা হওয়াতে অর্থ প্রাপ্তি সহজতর ছিল না। সম্প্রতি জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান কমিটি, সভাপতি এডভোকেট রঞ্জিত কুমার ঘোষ এবং সেক্রেটারি এডভোকেট মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা ও উর্দ্ধতন মহলের সঙ্গেঁ যোগাযোগ ক্রমে বিগত কমিটি সমূহের কার্য্যক্রমের ধারাবাহিকতার ফল ও ফসল হিসাবে অর্থ সংগ্রহে সফল হন। বর্তমান কমিটি তাৎক্ষনিকভাবে একটি সাধারন সভা আহ্বান করতঃ বিগত কমিটি সমূহের কার্য্যক্রমের প্রসংসা করেন। একটি শক্তিশালী নির্ম্মান কমিটি গঠন করা হয়। সরকারি অর্থ বরাদ্দের পরও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্ম্মান কাজ আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বিলম্ব হচ্ছিল। অতঃপর টেন্ডার হওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেঁ যোগাযোগ করে প্রকল্পের নির্ম্মান ব্যায় বৃদ্ধি করার জন্য অজ্ঞাত কারনে নির্মান কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। জেলা বার এর পক্ষ থেকে বিষয়টি মান্যবর প্রধান বিচারপতি মিঃ জাস্টিস এস.কে সিনহার দৃষ্টি গোচরে নিলে তিনি অসন্তুষ প্রকাশ করতঃ ঠিকাদারি প্রতিষ্টান ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কড়া নির্দেসনা প্রদান করেন। তাঁর কড়া নির্দেসনা ও নযরদারির কারনেই মৌলভীবাজার জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্ম্মান কাজ শেষ হয়- যা বর্ত্তমানে এ জেলার একটি দৃষ্টি নন্দন স্থাপনাও বটে।
মিঃ জাস্টিস সুরেন্দ্র কুমার সিনহা স্বাধীনতাউত্তর কালে সহজ লভ্য সরকারি চাকুরি ব্যবসা বানিজ্যে অর্থ কড়ির লোভ উপেক্ষা করে স্বাধীন পেশা আইন ব্যবসায় যোগ দেন। জেলা বার থেকে সিলেট জেলা বার অতঃপর মহামান্য হাইকোর্ট বারে। আইন পেশায় তার ব্যাপক নাম ডাক হয়। ১৯৯৯ সালে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারপতি ২০০১ সালে তাঁর মেধা ও মনন, প্রজ্ঞা ও পন্ডিত্যের কারনে স্থায়ী হন। অতঃপর তার এগিয়ে যাওয়ার পালা। তিনি সিনিওরিটি অনুযায়ী আপীল বিভাগে অতঃপর মহামান্য প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। প্রধান বিচারপতি হিসাবে আইনে সংস্কার ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক মামলার রায় দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মিঃ জাস্টিস এস.কে সিনহা।
এই ঐতিহাসিক শুভ দিনে, ঐতিহাসিক ক্ষনে বাংলাদেশের মহামান্য প্রধান বিচারপতি মিঃ জাস্টিস সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে জেলা বার সমিতি এবং জেলাবাসির পক্ষ থেকে স্বাগতম। সু-স্বাগতম। তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সার্বিক কল্যান কামনা করি। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তি কালে বিচার বিভাগের মান মর্য্যাদা সমুন্নত রাখতে তাঁর ভূমিকা ও অবদান আগামী ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন