জেলা পরিষদ নির্বাচন:- লটারীতে পছন্দের প্রতীক এমএম শাহীনের
ইমাদ উদ দীন॥ ছয় প্রার্থীরই পছন্দ ছিল একই। চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীই চেয়েছিলেন ওই প্রতীকটি। বিষয়টি প্রার্থীদেরও যেমন ছিল অজানা তেমনি তাদের ভক্ত ও সর্মথকদের।
১২ ডিসেম্বর ছিল প্রতীক বরাদ্ধ। নিয়মানুযায়ী প্রার্থীরা উপস্থিত হন জেলা পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ প্রশাসকের কার্যালয়ে। নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান ৬ প্রার্থীই চেয়েছেন “আনারস” প্রতীক। এমন ঘোষণায় তাদের সকলের পছন্দের প্রতীকের গোমড় ফ্লাশ হয়। প্রার্থীদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়রিটির ভিত্তিতে প্রতীক নিয়ে চালানো হয় সমঝতা। কিন্তু তাতে তারা সম্মত না হওয়াতে সিন্ধান্ত আসে লটারীর। এমন সিন্ধান্ত হলে লটারীতে অংশ না নিয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে সন্তুষ্ট হন সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক ও আওয়ামীলীগ সর্মথিত প্রার্থী আজিজুর রহমান। অন্য ৪ জন (আদালতের শরণাপন্ন হওয়া প্রার্থী বকশি ইকবাল আহমদ ছাড়া) প্রার্থীই লটারীর পক্ষে তাদের অবস্থান থাকে দৃঢ়। লটারীতে অংশ নিয়ে সকলের সেই কাঙ্খিত “আনারস” প্রতীকটি পেয়ে যান সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএম শাহীন। সকল প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক একই হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জানা গেল বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার (৬৭ টির মধ্যে একটি ব্যতীত) ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন “আনারস” প্রতীকে।এমনকি ইউনিয়ন নির্বাচনে আলোচিত,জেলার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারে মত নির্বাচনে অংশ নিয়ে আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান সাবেক ছাত্র নেতা তাজুল ইসলাম তাজ। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর তার ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে নিজ হাতে পাকা আনারস পৌঁছে দিয়ে পুন:রায় জেলা জুড়ে হয়ে ছিলেন আলোচিত। এরকম গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থীদের চমক আকৃষ্ট করে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। সকলের একই প্রতীক পছন্দের কারণ জানতে একাধীক প্রার্থীর সাথে আলাপে তারা জানান যে হেতু এই প্রতীকটি ছিল গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক বিজয়ী চেয়ারম্যানদের প্রতীক তাই ওই প্রতীকের প্রতি ভোটারদের বাড়তি দরদ থাকবে এমন ধারণায় সকলেই আগ্রহী হয়েছিলেন এই প্রতীক নিয়ে। তাছাড়া এ জেলায় উৎপাদিত অন্যতম রসের ফলও আনারস। তবে পচন্দের প্রতীক না পেলেও জয়ের ব্যপারে তারা সকলেই আশাবাদী। এমএম শাহীন মুঠোফোনে প্রতীক নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন আমি ঐক্যবদ্ধ মৌলভীবাজার বাসীর ব্যানারে নির্বাচন করছি। দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া ও আর্শিবাদ নিয়ে আমি প্রার্থী হয়েছি। সকলের দোয়া আর্শিবাদ থাকার কারণেই আমি লটারীতে সকলের পছন্দের প্রতীক পেয়েছি। তিনি নির্বাচনে দলমতের ঊর্ধ্বেউঠে জেলাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিতে সকল ভোটার ও জেলাবাসী সর্বস্থরের জনগণের দোয়া ও আর্শিবাদ চান। অন্য ৫ প্রার্থী যে প্রতীক পেলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য এম এ রহিম শহীদ (সিআইপি) পছন্দ করেন “মোটরসাইকেল”। ঐক্যবদ্ধ নাগরীক ফোরামের চেয়ারম্যান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সোহেল আহমেদ পছন্দ করেন “তালগাছ”। যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীরে সদস্য সাহাব উদ্দিন সাবুল পছন্দ করেন “প্রজাপ্রতি”প্রতীক। এছাড়া বিকেলের দিকে মহামান্য আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া সিনিয়র সাংবাদিক বকশি ইকবাল আহমদ পান “ঘোড়া” প্রতীক।
মন্তব্য করুন