জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ কমলগঞ্জে দুই ওয়ার্ডে সদস্য পদে দুই কলেজ অধ্যক্ষ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্টিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে দুইটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে টাকার ছড়াছড়ি হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা (কমলগঞ্জ পৌরসভা, কমলগঞ্জ সদর, ইসলামপুর, মাধবপুর ও আদমপুর ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত ১৪ নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫ জন জনপ্রতিনিধি। ৫টি ইউনিয়ন (পতনঊষার, রহিমপুর, মুন্সিবাজার, শমশেরনগর, আলীনগর ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ) নিয়ে গঠিত ১৫ নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৮ জন প্রতিনিধি। ১৪ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন কমলগঞ্জ আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো: হেলাল উদ্দীন (তালা প্রতিক)। ক্লিন ইমেজের অধিকারী অধ্যক্ষ মো: হেলাল উদ্দীন নির্বাচনে সাংগঠনিক প্রচারনায় তিনি বিজয় লাভে শতভাগ আশাবাদি। তবে নির্বাচনে কালো টাকাকেও তিনি শঙ্কা হিসাবে মনে করেন। এ ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র হিসাবে বিএনপি সমর্থিত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক গোলাম রব্বানী তৈমুর (সিএনজি অটোরিক্সা প্রতীক) এবং কমলা কান্ত সিংহ (নলকূপ প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
অপরদিকে ৫টি ইউনিয়ন (শমশেরনগর, পতনঊষার, রহিমপুর, মুন্সিবাজার, আলীনগর ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত ১৫ নং ওয়ার্ড। মোট ভোটার সংখ্যা ৬৮ জন। এখানে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মুর্শেদুর রহমান (তালা প্রতিক)। এছাড়া এ ওয়ার্ডে পতনঊষার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান মহরম (নলকূপ), ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার মুহিবুর রহমান জয়নাল (সিএনজি অটোরিক্সা) স প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সদস্য প্রার্থী সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মুর্শেদুর রহমান বলেন, তাঁর বেলায়ও আওয়ামী দলীয় সমর্থন আছে। তিনি জনসেবার চিন্তায় প্রার্থী হয়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং ও ১৫ নং ওয়ার্ড ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনধিদের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ করার না শর্তে তাদের সোজা জবাব ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে ইউনিয়নে সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এখন জেলা পরিষদে ভোটার হওয়ায় কিছুটা মূল্য বেড়েছে। জেলা পরিষদ সদস্যদের কাছ থেকে নগদ কিছু সুবিধা নিতে হবে। ইউপি সদস্যদের কথাবার্তায় আশঙ্কা করা যাচ্ছে নির্বাচনে নগদ টাকার ছড়াছড়ি হবে।
মন্তব্য করুন