জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় প্রধান আব্দুল মতিন খান
স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’-এ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পর এবার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন খান।
সোমবার ৭ মে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এর প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ে তাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন খান তাঁর এ অর্জনে মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ের নির্বাচক মন্ডলীর আহবায়ক, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম ও সদস্য সচিব জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমানসহ সকল নির্বাচক মন্ডলীকে শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
জানা যায় আব্দুল মতিন খাঁন বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রাখা গ্রামের বাসিন্দা, তাঁহার পিতা মরহুম মোঃ আতর খান, মাতা মর্তুজা লতিফ চৌধুরী, ১৯৬৪ সালে তিনি রাখা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৬ সালে শাহ্ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৮১ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে এস এস সি পাশ করে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বি এ পাশ করে, ১৯৮৭ সালে তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতা পেশায় মনোনিবেশ করেন। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে ২০০২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ২০০৯সালে শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই অত্যন্ত সুনাম, সততা, যোগ্যতা, মননশীলতা ও দক্ষতার সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি প্রশাসনিক প্রশিক্ষণসহ শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ও সহ-পাঠ্যক্রমিক, শিক্ষামূলক কার্যক্রম অত্যন্ত সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছেন। ২০১৬ সালে শিক্ষা সপ্তাহে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে ২০১৯ ও ২০২২ সালে ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন সর্বশেষ কর্মজীবন ২০২৪সালে আবারও শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হন। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান উন্নয়নসহ পারিপার্শিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন।
জানা যায়, আব্দুল মতিন খাঁন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন এই সময়ের মধ্যে তার লিখা বিভিন্ন বিষয়ে ৮ বই প্রকাশিত হয়েছে। যা জাতীয় একুশে বইমেলা বিভিন্ন স্টলে বিক্রি হয়েছে সর্বশেষ ২৫ টি আধ্যাত্মিক গান বাংলাদেশ বেতার সিলেট এ গীতিকার নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে, তাছাড়া কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট । বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট, মৌলভীবাজার, পাবলিক লাইব্রেরি, মৌলভীবাজার, মোবাইল পাঠাগার, সিলেট এর আজীবন সদস্য হিসাবে কাজ করে আসছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন খান বলেন, আমার এই অর্জনে পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে, আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিদ্যলয়ের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের। তিনি আরো জানান আমি আর মাএ পাঁচ মাস বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি, আগামী অক্টোবরে আমি অবসরে যাবো, আমার এ অর্জন এ বিদ্যাপিঠের পরবর্তী প্রধান শিক্ষক , সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রেরণা যোগাবে। আমার পরে তাঁরা এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন বলে আশা করছি।
তাছাড়া অবসরে যাওয়ার পূর্বে বর্তমান চৌকস পরিচালনা কমিটি নিয়ে যতদিন আমি বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত আছি, এরই মধ্যে বিদ্যালয় কে আরো বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমার সহকর্মী ও ম্যানেজিং কমিটি কে ধন্যবাদ জানাই ।
মন্তব্য করুন