জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নক্ষত্রের স্মরণে ইউকে বিডি টিভির ভ্যাচ্যুয়াল শোক সভা

November 9, 2020,

বদরুল মনসুর॥ জেলের অভ্যস্তরে মর্মান্তিক, করুণ, মর্মস্পর্শী শোকাবহ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নক্ষত্রের স্মরণে শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা.শীরনামে ইউকে বিডি টিভির উদ্দ্যোগে এক ভার্চুয়াল শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্তে এবং ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশিষ্ট সাংবাদিক খায়রুল আলম লিংকন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ. সুইডেন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত টুটু. যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক এম এ সালাম. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী. যুক্তরাজ্য জাতীয় চার নেতা পরিষদের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শাহ ফারুক আহমদ এডভোকেট.
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব মামুন. মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুহান আহমদ টুটুল. ফ্রান্স আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো আলী হোসেন. বঙ্গবন্ধু লেখক-সাংবাদিক ফোরাম, ইউকের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক সুজাত মনসুর. নিউপোট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তাহির উল্লাহ.লন্ডনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এর প্রতিষ্টাতা আফছার খান সাদেক যুক্তরাজ্য অনলাইন প্রেসক্লাব এর সভাপতি ম. জয়নুল আবেদীন রোজ.যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জামাল আহমেদ খান. ও নিউপোট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ শাফি কাদির সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বর প্রতিবছর আমাদের শোকাবহ স্মৃতিকে আরো শোকার্ত করে তোলে। বাংলার আকাশ-বাতাস মাটি ও স্বাধীনতাকামী মানুষ এ বিষাদ স্মৃতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে।কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে “জেল হত্যা’ সেইরকমই একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পর চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে যে কলংকময় অধ্যায় এর সূচণা করছিলো সেই ঘাতকচক্র বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতির ইতিহাসে দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়ের জন্ম দেয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য,কলঙ্কিত,হৃদয়বিদারক নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের,একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর,মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম.ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী. ও ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন৷ জাতির চার উজ্জ্বল নক্ষত্র. যারা বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তাঁর অবর্তমানে ও নিদর্শিত পথে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী অন্যতম পরিচালক হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় চার নেতাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অপূর্ব দক্ষতার সাথে স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকার পরিচালনা ও পরম নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদ দান ও দু ‘লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা পেয়েছিলাম বিজয়ের লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা তথা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বক্তারা আরও বলেন জেল হত্যা দিবসের এই শোকাবহ বিশেষ দিনে প্রতিটি বাঙালীর কাছে অনুরোধ আমরা যেন ত্যাগের ইতিহাস ভুলে না যাই। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বৃহত্তর স্বার্থকে যেন জলাঞ্জলি না দেই। আমাদের মনে রাখতে হবে খুনী মোশতাক এবং খুনী জিয়া চক্র বাংলাদেশকে আবার পাকিন্তান বানানোর লক্ষ্যে ও জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেওয়া মানসে ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ” ও ৩ রা নভেম্বরে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চারনেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। ৭৫-এর পর থেকে বছরের পর বছর বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চলে। বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কুশীলব হিসেবে জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ আত্মস্বীকৃত ঘাতকদের মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।
জেল হত্যাকান্ডের পর ওই সময়ই লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর এ হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এর পর দীর্ঘ পরিক্রমায় জেল হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আজ ওস্বাধীনতা বিরোধীরা ও স্বাধীনতার শত্রুরা ও খুনী মোস্তাক জিয়ার উত্তরসুরীরা এখন ও নানাভাবে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
আসুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার চার নক্ষত্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে আসুন কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ম্যাদার অব ইউমিনিটি মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবো এই হোক আজকের দিনে আমদের দীপ্ত শপথ।।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com