জো বাইডেনের নিরংকুশ বিজয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাটকীয় বিদায়

November 24, 2020,

মোহাম্মদ আবু তাহের॥ জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন হিসেবে পরিচিত। বাইডেনের জন্ম ১৯৪২ সালের নভেম্বরে পেনসিলভানিয়ার স্ক্রানটনে। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র, মা কেথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান। বাইডেন ডেলাওয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছেন। পরে তিনি সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটি থেকে আইনের ডিগ্রি নেন। আইন বিষয়ে পড়ার সময় ১৯৬৬ সালে বাইডেন নিলিয়া হান্টারকে বিয়ে করেন। নিলিয়াকে তিনি একবার ৩০ বছরের মধ্যে সিনেটর হওয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে ছিলেন। সিনেটর হওয়ার পর তাঁর লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া। বাইডেনই একমাত্র ইতিহাস সৃষ্টিকারী মানুষ যিনি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছর বয়সী তরুন সিনেটর, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশী-বয়সী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
বাইডেন পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র সিনেটর যিনি হাসপাতালে শপথ গ্রহণ করেছেন। ক্রিসমাসের কেনাকাটা করতে গিয়ে একটা ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে বাইডেনের স্ত্রী ও মেয়ে মারা যান এবং ছেলে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন, সেজন্যই ছেলেকে ছেড়ে শপথ নিতে যাননি বাইডেন। বাইডেনের রানিংমেট কমলা হ্যারিস ও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যে আমেরিকা সব সময়ই নারীর ক্ষমতায়নে সোচ্চার সে আমেরিকায় একজন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্য্যরে দাবী রাখে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সিকি শতাব্দীর ও বেশী সময়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় কোন প্রেসিডেন্ট যিনি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে ও হেরে গিয়ে ইতিহাসে নাম লিখালেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে জো বাইডেন পৃথিবীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তাঁর এ বিজয় অভাবনীয়। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন সহ আমেরিকার প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ শহরে করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষের বিজয়ী আবেগ উচ্ছাস প্রদর্শিত হয়েছে।
জো বাইডেন বর্ণাঢ্য রাজনিতিক জীবনের অধিকারী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে তাঁর অবদান অপরিসীম। আমেরিকার জনগণ বাইডেনকে বিজয়ের মালা পরিয়ে দিলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প নজিরবিহীনভাবে নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতা না ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন। ট্রাম্প একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ী থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আমেরিকার মানুষের মনের কথা বুঝতে পারছেন বলে মনে হয় না। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প তাঁর প্রথম বিজয় ভাষনে তাঁর বিজয়কে ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে রাখবো। তাঁর শ্লোগান ছিল “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন”। তিনি বলেছিলেন আমি সব আমেরিকানদের প্রেসিডেন্ট হবো। অবস্থাদৃষ্ঠে প্রতিয়মান হয় যে, তার দেয়া বক্তব্যের বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমেরিকার নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন বলে মনে হয়। ট্রাম্প নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য আমেরিকার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চেয়েছেন। যা পৃথিবীবাসীর কাছে দৃশ্যমান হয়েছে। মহা ভারতের একটি প্রবাদ “তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে”। বাইডেনের মানবতাবাদী চিন্তা চেতনার কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংকীর্ণতা ও অহমিকতার পতন হয়েছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় হেরে গিয়ে হিলারী ক্লিনটন পরাজয় স্বীকার করে বলেছিলেন আমাদের উচিত হবে ট্রাম্পকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া। হিলারীর সেই বক্তব্যে তাঁর সত্যিকারের দেশপ্রেম ও অসাধারণ সৌজন্যবোধে ও উদারতার পরিচয় পাওয়া যায়, যা ট্রাম্পের কাছ থেকে এখনও পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মনিষী চার্চিলের একটি উক্তি এখানে বেশ প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করি। “ম্যাগনামিনীটি ইন ভিক্টরী এন্ড ডিফায়েন্স ইন ডিফিট” অর্থ্যাৎ জয়ের ক্ষেত্রে থাকতে হবে উদার আর পরাজয়ের ক্ষেত্রে থাকতে হবে ভ্র্রুক্ষেপহীন। বিজয়ী হলে মানসিকতা থাকতে হবে উদারতাপূর্ণ এবং পরাজয়ে ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা। হয়রত আলী (রা) বলেছেন, বুদ্ধিমান লোক নিজে নত হয়ে বড় হয় আর নির্বোধ লোক নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয়। বিজয়ী হওয়ার পর উদারতায় ভরপুর এক অসাধারণ ভাষণে জো বাইডেন বলেছেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আত্মাকে ফিরিয়ে আনতে চান। দেশকে বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। তিনি বলেছেন “আমি চেয়েছিলাম এই জাতির মেরুদন্ড মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে পূণর্গঠিত করতে এবং আমেরিকার প্রতি ফের পুরো বিশ্বের শ্রদ্ধা ফিরিয়ে আনতে” নির্বাচনে যারা তাকে ভোট দেয়নি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ এখন কর্কশ রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর দূরে ঠেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সময়, আবার একে অপরের দিকে তাকান, ফের একে অপরের কথা শুনেন, আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা বন্ধ করুন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জানান জানুয়ারিতে তাঁর অভিযেকের দিন থেকেই যেন সিদ্বান্ত বাস্তবায়ন করা যায় তা নিশ্চিত করতে তিনি করোনাভাইরাস রেসপন্স কমিটি গঠন করে রাখবেন।
গণমাধ্যমে বাইডেনের অসাধারণ বিজয়ের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এক টুইট বার্তায় তিনি আমেরিকার জনগনের উদ্দেশ্যে আরও বলেছেন, এই মহান দেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাকে নির্বাচিত করায় সম্মানিত বোধ করছি। আমাদের সামনের কাজ কঠিন হবে। কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি আমেরিকার সবার প্রেসিডেন্ট হবো। আমাকে আপনি ভোট দিয়েছেন কি দেননি, সেটা বিষয় নয়। বাইডেনের বর্ণাঢ্য, রাজনৈতিক ও মানবিকতাপূর্ণ জীবন পর্যালোচনা করলে তাঁর বক্তব্যের প্রতি আমেরিকার জনতার আস্থা ও বিশ্বাস থাকবে এটা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করা যায়। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন জনকল্যাণমূলক অনেক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।
করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে শীর্ষ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন, মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও ক্ষদ্র ব্যবসায়ীদের প্রনোদনা, সবার জন্য টিকা ও নিয়মিত বিনামূল্যে পরীক্ষা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় অন্তর্ভূক্তি। অর্থনীতির পূণর্গঠন করতে অবকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ, সর্বনিম্ন মজুরী ১৫ ডলার, ধনী ও কর্পোরেট কোম্পানীর কর বৃদ্ধি। ৭ মুসলিম দেশের ওপর থেকে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেয়ার রোডম্যাপ ও ঘোষনা করেছেন বাইডেন। এছাড়া ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর জন্য পৃথক নীতিগ্রহণ, স্বাস্থ্য সেবা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও নবায়নযোগ্য জালানীতে ২ লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগ, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের সূযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ অনেক মানবিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অন্যদিকে হার মানার কোন প্রশ্নই ওঠেনা বলে এক টুইটারে ঘোষানা দিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা মামলায় ও তিনি হারছেন বলে জানা গেছে। আমেরিকার মানুষ ও পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা বিভেদ সৃষ্টি না করে নির্বাচিত প্রেসিডিন্ট বাইডেনের নেতৃত্বে ঐক্য, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতা থাকবে।
আমেরিকার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একবার বলেছিলেন, যদি আমাদের পরিস্থিতি নতুন থাকে তাহলে আমাদের ভাবতে হবে নতুন করে, আর তখনই আমরা আমাদের দেশকে বাঁচাতে পারবো। আমেরিকার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাঁর সাথে পরাজিত হিলারী ক্লিনটনের মতো উদার মানসিকতা নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক সুলভ বক্তব্য রাখতে হবে। প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছিলেন A Politician thinks for the next election, but a statesman thinks for next generation.  সকল মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় আমেরিকার মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ধর্মবর্ণ সাদাকালো সকল মানুষই সমান মর্যাদার অধিকারী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম-বর্ণ-গোত্র-ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মানুষের অধিকার আদায়ের জীবন্ত কিংবদন্তী নেতা মার্টীন লুথার কিং আজীবন সংগাম করে গেছেন। মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করে আত্মদানের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে গৌরবান্বিত করে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে থাকবেন চিরকাল। পঞ্চাশের দশকেও আমেরিকার কিছু অঙ্গরাজ্যে পাবলিক বাসে কালোদের জন্য পিছনের সারিতে আলাদাভাবে বসার ব্যবস্থা ছিল। কালোদের জন্য আলাদা স্কুলের ব্যবস্থা ছিল। ব্যাংক বা দোকানেও আলাদা লাইনের ব্যবস্থা ছিল। মার্টীন লুথার কিং এর সংগ্রামের ফসল ‘সিভিল রাইটস্’ আইন বিদ্যমান রয়েছে আমেরিকায়। এখন আমেরিকায় বর্ণবাদকে উসকে দেয়ার সুযোগ নেই। বর্ণবাদী হওয়া আইন দ্বারা বারিত। আমেরিকার মানুষ পরিবর্তন চায়। আমেরিকার মানুষ কালো মানুষকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে ও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। পরিবর্তনের শ্লোগানকে আস্থায় এনে বারাক ওবামাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে তারা বিষ্ময়কর পরিবর্তন এনেছিলেন। এবার তারা ৭৭ বয়সী জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে আরো এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক, জনগণই রাজা। জর্জ বার্নাডশ এর মতে গণতন্ত্র এমন একটি কলাকৌশল যা নিশ্চিত করে আমরা যা চাইব তার চেয়ে ভাল ভাবে আমরা শাসিত হব না। মাং সেতুং ও বলেছিলেন খারাপ জনগণ খারাপ নেতা তৈরী করে, এর মানে হলো যে জনগণ যে ধরনের নেতা পাওয়ার যোগ্য তারা সেই নেতাই পেয়ে থাকে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল অনুষ্ঠানেই বাইডেনকে প্রচন্ড আত্ববিশ্বাসী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে ব্রাজিলিয়ান খ্যাতিমান লেখক পাওলো কোয়েলুর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করি “ When a person really desire something all the universe conspire that person to realize his dream Ó। একই সঙ্গে প্রত্যাশা করি পৃথিবীর মানুষের শান্তি, স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে বাইডেন থাকবেন উচ্চকন্ঠ। বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে অবদান রেখে এ দেশের মানুষের কাছে তিনি আন্তরিক হয়ে উঠবেন, তাঁর বিজয়ের এই সময়ে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের এই কামনা। পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আশাবাদী হতে চাই, এদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সহযোগিতার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে।
লেখক: ব্যাংকার, কলামিষ্ট ও গবেষক।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com