টানা তিন ঘন্টায় অর্ধেক ফুলের শুভেচ্ছা নিতে পারেননি কৃষি মন্ত্রী
বিকুল চক্রবর্তী॥ টানা তিন ঘন্টা ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করে অর্ধেকও শেষ করতে পারেননি কৃষি মন্ত্রী। পরে মন্ত্রীর হয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রহন করেন শত শত ফুলের তোড়া। আর উপস্থাপক তাদের নাম লিস্ট করে মাইকে ঘোষনা দেন।
বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি সকালে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ প্রথমবারের মতো নিজ এলাকায় আসলে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের মানুষ তাদের প্রাণের নেতাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে বিভিন্ন আকৃতির ফুল, ক্রেস্ট, নৌকা প্রতীকসহ বিভিন্ন অভিনন্দন স্মারক নিয়ে আসেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি শ্রীমঙ্গলের প্রবেশ দ্বার মুছাই এলাকায় আসলে সেখানেই শুরু হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। সেখান থেকে শ্রীমঙ্গল চা কন্যায় আসলে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগগঠন মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। পরে শ্রীমঙ্গল সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফুলের শুভেচ্ছা জানায়। বেলা ১২ টায় শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ মাঠে আসলে এখানে অপেক্ষারত কয়েক হাজার মানুষ তাদের প্রাণের নেতাকে ফুল দিতে দলে দলে মঞ্চে যান। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শেষ হয়নি অর্ধেক সংগঠনেরও ফুল গ্রহন।
পরে উপস্থাপক শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন মাইকে ঘোষনা দেন। সকলের নাম তিনি ঘোষনা দিচ্ছেন সবাই যেন নেতাকর্মীদের হাতে ফুল দিয়ে দিতে সকল ফুলই মন্ত্রীর বাসায় নামসহ পৌছে দেয়া হবে। এর পর কয়েকজন নেতাকর্মী দুই হাতে সকলের ফুল গ্রহন করেন। এতো ফুল আসে বিশাল মঞ্চের সন্মুখ ফুলের পাহাড়ে পরিনত হয়।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জগৎজ্যোতি ধর শুভ্র বলেন, কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি তৃণমুলের মানুষের নেতা। শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জের মানুষ তাকে হৃদয় থেকে ভালেবাসে তারই বহি প্রকাশ।
পরে মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আপনাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণি। আপনাদের সকলের ফুলই আমি গ্রহন করেছি। তিনি বলেন, আমার কাছে বড় ফুল হচ্ছেন আপনারা। কারন আপনাদের দেয়া বিশাল ভোটেই আমি সংসদ সদস্য হয়েছি এবং এর ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে কৃষি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনারাই আমার গলার মালা এই মালা আমি সব সময় গলায় রাখি।
মন্তব্য করুন