ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেল কুলাউড়ার ৯ জন
এম. মছব্বির আলী॥ সদ্য প্রকাশিত জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৪ সালের ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় কুলাউড়া থেকে ৯ জন প্রথম বিভাগ লাভ করে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। তন্মধ্যে ৮ জনই কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের। অভাবনীয় এ সাফল্যে কলেজ জুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। প্রথম বিভাগ পাওয়া সবাই একান্ত আলাপচারিতায় তাদের স্বপ্ন কথা জানান।
রোশনা বেগম : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ রোশনা বিএসএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৩৮ মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হোন। তিনি বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের মাধবপুর মোল¬া বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল মনাফ (শামা মিয়া’র) মেয়ে। এসএসসিতে এ মাইনাস ও এইচসিতে এ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন রোশনা। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে আদর্শ শিক্ষক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ফারহানা জান্নাত ফাইমা : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ ফারহানা বিবিএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৯৯৯ মার্কস পেয়ে চমক দেখান। তিনি কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের কিয়াতলা গ্রামের লুৎফুর রহমান হেলালীর মেয়ে। এসএসসি ও এইচসিতে এ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন ফাইমা। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে আদর্শ শিক্ষক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রহিমা আক্তার পিংকি : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ রহিমা বিবিএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৯৩ মার্কস পেয়ে চমক দেখান। তিনি রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের পাল গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লেবু মিয়ার মেয়ে। এসএসসি ও এইচসিতে এ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন রহিমা। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্যাংকার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মাহমুদা আক্তার তমা : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ মাহমুদা বিবিএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৭৬ মার্কস পেয়ে চমক দেখান। তিনি জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের লৈয়ারহাই গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট দলিল লেখক দেলোওয়ার হোসেন মুক্তার মেয়ে। এসএসসি ও এইচসিতে এ মাইনাস গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন মাহমুদা। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্যাংকার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নূরা আক্তার : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ নূরা বিবিএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৬৮ মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হোন। তিনি ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের ভুকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা আকমল আলীর মেয়ে। এসএসসি ও এইচসিতে এ মাইনাস গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন নূরা। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্যাংকার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রীমা বেগম : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ রীমা বেগম বিএসএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৭৩ মার্কস পেয়ে কৃতিত্ব দেখান। তিনি পৌর শহরের টিটিডিসি এরিয়ার বাসিন্দা, ইষ্ট কোষ্ট গ্রুপের কুলাউড়াস্থ শাখার ফিল্ড অফিসার সৈয়দ বেলাল আহমদের স্ত্রী। এসএসসি ও এইচসিতে এ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন রীমা বেগম। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে প্রভাষক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শাপ্পি বেগম : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী মুখ শাপ্পি বেগম বিএসএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৬০ মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হোন। তিনি ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণভাগ গ্রামের পাখি মিয়ার মেয়ে। এসএসসিতে ও এইচসিতে এ মাইনাস গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন শাপ্পি বেগম। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে আদর্শ শিক্ষক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
লিপি বেগম : ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা কলেজের মেধাবী মুখ লিপি বেগম বিএসএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৮৪৩ মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তিনি ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের হিংগাজিয়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাসুক মিয়ার মেয়ে। এসএসসিতে ও এইচসিতে এ মাইনাস গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হোন লিপি বেগম। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে আদর্শ শিক্ষক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নাসিমা আক্তার সাকী : কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে একমাত্র শিক্ষার্থী নাসিমা আক্তার সাকী বিবিএস শাখা থেকে অংশ নিয়ে ১৪০০ মার্কসের মধ্যে তিনি ৯৪৮ মার্কস পেয়ে চমক দেখান। তিনি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য আব্দুল মানিকের পুত্রবধূ ও কুলাউড়া পৌর মেয়র আলহাজ্জ শফি আলম ইউনুছের মেয়ে। নাসিমা আক্তার সাকী’র স্বামী কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ৬নং ওয়ার্ড সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও কুলাউড়া ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল¬াহ আল মনি।
মন্তব্য করুন