ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন চেয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের কর্মবিরতি ও সমাবেশ
লন্ডন প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশে সদ্য পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারার সংশোধন চেয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিকরা। আইনটির কিছু ধারা সংশোধন, বাংলাদেশে পেশাদার ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা সমুন্নত রাখার দাবীতে লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রতিকী কর্মবিরতী, মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবী জানানো হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে পুর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে লন্ডনে বাংলা মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক, কলা-কুশলী, লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও কলামিষ্টরা অংশ নেন। বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক ইন্টারন্যাশন্যাল ব্রডকাস্টার সাংবাদিক ও লেখক শামীম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী ও সাইদুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ড. রেনু লুৎফা, বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পীকার ব্যারিষ্টার নাজির আহমেদ, কলামিষ্ট বিপ্লব পোদ্দার, ব্যারিষ্টার এ কে এম হাসনাত, ব্রিট বাংলার নির্বাহী সম্পাদক আহাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাভাষী সম্পাদক অলিউর রহমান খান, ওয়ান বাংলার সম্পাদক কয়েস আলী, লন্ডন বিডিনিউজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রোমান বখত চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের বিভাগীয় সম্পাদক সালেহ আহমদ, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, চ্যানেল এস এর রেজাউল করিম মৃধা, বাহার উদ্দীন, নুর বখশ, তরিকত চৌধুরী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, আইনের কয়েকটি ধারা গনমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী।এ আইনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ও অফিসিয়াল সিক্রেসী আইন দুটি বিদ্যমান রাখায় বরং এটি পরস্পর বিরোধী অবস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশকে বিনা গ্রেফতারী পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশীর ক্ষমতা দেবার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতাকে বাঁধাগ্রস্থ করার ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা বলেন, আইনটি পাশ হবার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও কয়েকটি বিবৃতি ছাড়া বাংলাদেশে সাংবাদিকদের কোন কর্মসুচী আমরা দেখিনি। এ আইনের বিতর্কিত ও সাংর্ঘষিক ধারাগুলো বাতিলের দাবীতে দেশে ও প্রবাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের গনমাধ্যমে যুক্তরাজ্যে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে এ কর্মসুচী দেওয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান প্রায় সকল বক্তা। সভায় বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ২১ , ২৫ , ২৮ , ২৯ , ৩১ , ৩২ , ৪৩ ও ৫৮ ধারা পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনের দাবী জানান।
মন্তব্য করুন