ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষ্ময়কর ঐতিহাসিক বিজয়: জয়ী হয়েছে গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতি
মোহাম্মদ আবু তাহের॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। ভোটাররা যাদের নেতা হিসাবে বাছাই করেছেন তারাই জয়ী হয়েছেন। জয়ী হয়েছেন আমেরিকার জনগণ। সবকিছু মিলে এ জয় জনশক্তির জয়। এ জয় জনতার জয়। প্রকৃত পক্ষে সাধারণ নাগরিকের কাছে কোন অস্ত্র থাকেনা তাদের বড় কোন শক্তি ও নেই। কেবল মাত্র একটি ব্যালটের শক্তি প্রয়োগ করে সাধারণ মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথিবীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বিজয় ঐতিহাসিক। এ বিজয় অভাবনীয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে তাঁর অবদান অপরিসীম। বিভিন্ন জরিপে হিলারীর বিজয়ের সম্ভাবনাই অনেক বেশী দেখিয়ে ছিল। সকল জরিপের ফলাফল পাল্টে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই বিজয়ের মালা পড়িয়ে দিল আমেরিকার জনগণ। যে আমেরিকা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সব সময় সোচ্চার সে আমেরিকাই একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেনি। হিলারী ক্লিনটন প্রায় দু’লক্ষ পপুলার ভোট বেশী পেয়েও নির্বাচনের পদ্ধতিগত জটিল ব্যবস্থার কারনে আন-পপুলারই রয়ে গেলেন।
ট্রাম্প একজন সফল খ্যাতিমান ব্যবসায়ী। তিনি বড় রাজনীতিবিদ না হলেও জনগণের মনের কথা বুঝতে পেরেছেন বলেই মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই একটি মহাশক্তিশালী দেশ। তিনি এ দেশকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গিকার করায় যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ তাকে আস্থায় এনে ব্যালটের শক্তি প্রয়োগ করে নীরব বিপ্লব সাধিত করেছে। হিলারী ক্লিনটনকে হারিয়ে এ বিজয় দেখিয়ে দিল আমেরিকান গণতন্ত্র অনেক বেশী ক্রিয়াশীল। ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় বলেছেন ‘আমেরিকা প্রথম’ এবং তাঁর সকল কর্মকান্ড ‘আমেরিকা প্রথম’-কে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হবে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচনে জিতলে মেক্সিকো থেকে অভিবাসী আসা বন্ধ করার জন্য সীমান্ত দেয়াল তৈরী করবেন, হিলারীকে জেলে পাঠাবেন।
নারী ও মুসলিমদের এবং অভিবাসীদের নিয়ে মন্তব্যের কারনে তাঁকে তীব্র তুপের মুখে পড়তে হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারকালে ট্রাম্পের দেয়া বক্তব্যের কারনে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী, নারী, মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ন্যায়সঙ্গত আচরণ না হওয়ার আশংকার কারনেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরও সহিংসতা দেখা গেল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সহিংস বিক্ষোভ আগে কখনো দেখা যায়নি বলে মনে হয়।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল করে নতুন স্বাস্থ্য সেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও এ ঘোষণা থেকে বর্তমানে আংশিক সরে এসেছেন। অপেক্ষাকৃত উচ্চ আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে আয়কর কমিয়ে দেয়ার ঘোষণাও করেছেন, কিন্তু কোন ধরনের স্বাস্থ্য সেবা ও আয়কর ব্যবস্থা চালু করা হবে এর কোনো ব্যাখ্যা দেননি ট্রাম্প। যে কারনে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগরিকদের মাঝে একটা আশংকা তৈরী হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবা ‘ওবামা কেয়ার’-এ দুই কোটি অতি সাধারণ মানুষ বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায়, মধ্যম আয়ের মানুষ সেই সুযোগ-সুবিধা পূর্ণাঙ্গভাবে পায় না।
অথচ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর প্রথম বিজয় ভাষণ তাঁকে অন্যরকম এক মানুষ হিসেবে প্রমাণ বহন করে। তিনি তাঁর বিজয়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। নির্বাচনের পূর্বে তিনি যে বিভক্তিগুলোকে সামনে এনেছিলেন বিজয়ের পর তিনি সেদিকে না গিয়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে রাখব। তিনি সকল বিভক্তি ভুলে মার্কিনীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তাঁর শ্লোগান ছিল “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।” প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন হিলারী ক্লিনটন অনেক দিন ধরে পরিশ্রম করেছেন। দেশের জন্য তাঁর অবদান আমাদের ঋণী করেছে। ট্রাম্পের এ মন্তব্য প্রশংসনীয়।
মার্কিনীদের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি বলেছেন এখন বিরোধ নয়, আমাদের জন্য ঐক্যের সময়। আমি সব আমেরিকানদের প্রেসিডেন্ট হবো। এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অন্য দেশের সাথেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই ভালো থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। হিলারী ক্লিনটন তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন আমাদের দেশ আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশী বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের উচিত হবে ট্রাম্পকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া। তিনি আরও বলেন আমি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং একসঙ্গে কাজ করারও প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি তিনি সব আমেরিকানদের জন্য একজন সফল প্রেসিডেন্ট হবেন।
হিলারীর এই বক্তব্যে নিঃসন্দেহে তাঁর সত্যিকারের দেশপ্রেম ও অসাধারণ সৌজন্যবোধ ও ঔদার্য্যের পরিচয় পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মনীষী চার্চিলের একটি কথা এখানে বেশ প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করি, “ম্যাগনানিমিটি ইন ভিক্টরী এন্ড ডিফায়েন্স ইন ডিফিট” অর্থাৎ জয়ের ক্ষেত্রে থাকতে হবে উদার আর পরাজয়ের ক্ষেত্রে থাকতে হবে ভ্রুক্ষেপহীন। বিজয় হলে মানসিকতা থাকতে হবে উদারতাপূর্ণ এবং পরাজয়ে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না।
পৃথিবীর মানুষ স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা করবে যুক্তরাষ্ট্রের মত বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সকল দেশের মানুষের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসনীয় ভূমিকা থাকবে। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী ছিলেন। তিনি না জিতলে এ নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে এ ধরনের কথা বিভিন্নভাবে ব্যক্ত করেছিলেন। তাঁর এ ধরনের বক্তব্যই প্রমাণ করে তিনি অসাধারণ আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী।
আমেরিকান অনেক মানুষের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। বিশ্বের অনেক মানুষের কাছে ট্রাম্পের বিজয় ছিল অকল্পনীয়। যে কারনে শিকাগো, সানফ্রান্সিসকো, ক্যানসাস সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবকটি অঙ্গরাজ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভকারীরা আলাদা হওয়ারও দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। তারা স্বাধীনতা চেয়েছে। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। আমরা মনে করি আমেরিকার জনগণকে নির্বাচনী ফল মানা উচিত। আমেরিকার মানুষকে বুঝতে হবে ডোনাল্ড ট্রম্পের এ বিজয় আমেরিকার বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিজয়। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল সংখ্যক মানুষের ভোট পেয়েই নির্বাচিত হয়েছেন। এই মুহুর্তে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে করি। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে যদি কাজ করার জন্য সহযোগিতা না করা হয় তিনি কিভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। তিনি যদি তাঁর নির্বাচনের পূর্বের বিভক্তি সৃষ্টির ইঙ্গিতবাহী বক্তব্যসমূহকে কার্যকর করার বা বাস্তবায়ন করার জন্য সচেষ্ট হন তাহলেই কেবল আমেরিকার জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে পারেন। ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের সময় যা যা বলেছেন তার ভিত্তিতেই সবকিছু করেন কিনা সেটিই হওয়া উচিত মার্কিনীদের দেখার বিষয়, বিবেচনার বিষয়। নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প কথায় ও আচরনে সংযম প্রদর্শন করেছেন।
তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবাইকে নিয়েই দায়িত্ব পালন করারও অঙ্গিকার করেছেন। পৃথিবীর মানুষ আশা করবে বিভেদ সৃষ্টি না করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ঐক্য, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে। ট্রাম্পকেও ধর্ম বর্ণ অভিবাসী নির্বিশেষে সকল আমেরিকান নাগরিকের আস্থা অর্জন করতে হবে। ট্রাম্পকে স্মরণ রাখতে হবে অভিবাসীদের কঠোর পরিশ্রম ও মেধার কারনেই বর্তমান আমেরিকা গ্রেট আমেরিকা হয়েছে।
অভিবাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শতবার চিন্তা ভাবনা করতে হবে কেননা আমেরিকাকে বলা হয় ÔLand of immigrantsÕ । নির্বাচনের পূর্বে তিনি যাই বলেছেন এখন পরিস্থিতি ভিন্ন রকম। এখন তিনি রাষ্ট্র নায়ক। আমেরিকার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একবার বলেছিলেন যদি আমাদের পরিস্থিতি নতুন থাকে অবশ্যই আমাদের ভাবতে হবে নতুন করে। তখনই আমরা আমাদের দেশকে বাঁচাতে পারবো। আমেরিকার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে নবনির্বাচিত মহামান্য প্রেসিডেন্টকে নতুন করেই ভাবতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে অন্তত তাই প্রতীয়মান হয়। নির্বাচনের পূর্বে তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য হলো একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।
কিন্তু এখন থেকে তাঁর বক্তব্য হবে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছিলেন ÔA politician thinks for the next election, but a statesman thinks for next generation.Õ রাষ্ট্রনায়ক ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী অঙ্গিকার থেকে সরে আসা শুরু করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভোটের আগে ট্রাম্প নানা বিষয়ে হুমকি দিলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প সেগুলোর বিষয়ে নমনীয় হবেন। বান কি মুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’ থেকে সরে আসার যে ঘোষণা ট্রাম্প দিয়েছেন তা থেকেও তিনি সরে আসবেন।
সকল মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় আমেরিকার মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ধর্মবর্ণ সাদাকালো সকল মানুষই সমান মর্যাদার অধিকারী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম-বর্ণ-গোত্র-ধর্ম এর ভিত্তিতে বৈষম্যকে অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মানুষের অধিকার আদায়ের জীবন্ত কিংবদন্তী নেতা মার্টিন লুথার কিং আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করে আত্মদানের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে গৌরবান্বিত করে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে থাকবেন চিরকাল। পঞ্চাশের দশকেও আমেরিকার কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে পাবলিক বাসে কালোদের জন্য পিছনের সারিতে আলাদাভাবে বসার ব্যবস্থা ছিল। কালোদের জন্য আলাদা স্কুলের ব্যবস্থা ছিল। ব্যাংকে বা দোকানেও আলাদা লাইনের ব্যবস্থা ছিল।
মার্টিন লুথার কিং এর সংগ্রামের ফসল সিভিল রাইটস্ আইন বিদ্যমান রয়েছে আমেরিকায়। এখন আমেরিকায় বর্ণবাদকে উসকে দেয়ার সুযোগ নেই। বর্ণবাদী হওয়া আইন দ্বারা বারিত। আমেরিকার মানুষ পরিবর্তন চায়। আমেরিকার মানুষ কালো মানুষকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। পরিবর্তনের শ্লোগানকে আস্থায় এনে বারাক ওবামাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে তারা বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছিলেন। এবার তারা ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে পৃথিবীতে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারনার প্রায় পুরো সময় জুড়েই অভিবাসন বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ট্রাম্পের লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কারের ঘোষনায় শান্তি প্রিয় অভিবাসীগণ উদ্বিগ্ন আছেন এটি স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নেয়া যায়। অভিবাসীগণের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ট্রাম্পেরই নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আসলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক, জনগণই রাজা। জর্জ বার্নাডশ এর মতে গণতন্ত্র এমন একটি কলাকৌশল যা নিশ্চিত করে আমরা যা চাইব তার চেয়ে ভাল ভাবে আমরা শাসিত হব না। মাং সেতুং ও বলেছিলেন খারাপ জনগণ খারাপ নেতা তৈরী করে, এর মানে হলো যে জনগণ যে ধরনের নেতা পাওয়ার যোগ্য তারা সেই নেতাই পেয়ে থাকে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল অনুষ্ঠানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রচন্ড আত্ববিশ্বাসী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ব্রাজিলিয়ান খ্যাতিমান লেখক পাওলো কোয়েলুর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করি ÔWhen a person really desire something all the universe conspire that person to realize his dreamÕ । একই সঙ্গে প্রতাশা করি পৃথিবীর মানুষের শান্তি, স্তিতিশীলতা,গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকবেন উচ্চকন্ঠ। বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার স¦ার্থে অবদান রেখে এ দেশের জনতার কাছে তিনি আন্তরিক হয়ে উঠবেন। তাঁর বিজয়ের এই মূহের্তে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের এই কামনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সস্ত্রীক বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আশাবাদী হতে চাই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সহযোগিতার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন