ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল সিএমএসএমই বিভাগীয় মেন্টরশীপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ (আইসিই) সেন্টার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত ‘রিভাইভ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে “বিজয় দিবস-২০২০ ভার্চ্যুয়াল সিএমএসএমই বিভাগীয় মেন্টরশীপ প্রোগ্রাম” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৩০ থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ পর্যন্ত চলে সিলেট বিভাগেরে জেলা গুলোর জন্যদিনব্যাপী এই আয়োজনে সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এবং এই খাতের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ অশীদারগণ অংশগ্রহণ করেন। সর্বমোট ৮ ঘন্টার এই মেন্টরশীপে সকাল ৯টা ৩০ এর সেশনের বিষয়বস্তু ছিল বাজারজাতকরন, সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা এবং প্রযুক্তি। আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মোঃ রাশেদুর রহমান সেশনের শুরুতে অংশগ্রহণকারী সকল সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এবং অতিথিদের স্বাগত জানান।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই প্রকল্পের ১০০ ঘন্টার ভার্চ্যুয়াল মেন্টরশীপের মাধ্যমে যে আলোচনার শুরু হয়েছে সেটির ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীদিনের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই সেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক শাহরীন আশরাফ। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন বিজনেস টিকেয়ে রাখার জন্যে ক্রেতাদের বিশ্বস্ততা দরকার সবার আগে। তাই সবার আগে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে ক্রেতাদের সাথে। তিনি আরো বলেন, ব্যবসার ধরণ অনুসারে বিক্রয়ের প্লাটফর্ম নির্ধারণ করতে হবে। এতে আরো অংশ নেন সুনামগঞ্জ উইমেন চেম্বার অফ কমার্সের পারিচালক সৈয়দ ফারহানা ইমা।
সকাল ১১ টা ৩০ এর লিগ্যাল, গভর্ন্যান্স এবং ডকুমেন্টেশন বিষয়ক সেশনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং হবিগঞ্জ জেলার এডিসি মার্জিনা আক্তার। এই সেশনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ গোলাম সারোয়ার উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথে আইনী প্রক্রিয়াজনিত বাধা সম্পর্কে কথা বলেন।
এ ছাড়াও উদ্যোক্তারা কী ধরনের ভুল করে থাকে যে কারনে তাঁদের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয় সেটা উল্লেখ করেন। মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ব্যবসা নথিভুক্তকরণ এবং তার আইনীপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য দেন এবং ব্যাংক লোনের জন্য উদ্যোক্তাদের কী কী কাগজ পত্রের দরকার এবং সেই সকল কাগজ পত্রের ব্যবস্থা তারা কিভাবে করতে পারবেন সেই ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার ধারনা দেন। মার্জিয়া আক্তার তার বক্তব্যে নারী উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তাদের সামনে এগিয়ে যেতে বলেন।
২য় সেশনে আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিল স্ট্র্যাটেজি, ডাইভার্সিটি এবং মানসিক স্বাস্থ্য। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ইনতিজার আলম এবং বিসিক, সিলেটের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এম সোহেল হাওলাদার। ইনতিজার আলম স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং কাউন্সিলিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এম সোহেল হাওলাদার তার বক্তব্যে উদ্যোক্তাদের জন্য বিসিকের ওয়ান স্টপ সার্ভিস, রেজিস্ট্রেশন এবং প্রশিক্ষণ সুবিধাগুলো জানান। একইসাথে হবিগঞ্জের বিসিকের এজিএম মোঃ প্রণোদনা প্যাকেজের বন্টন বিষয়ে কথা বলেন।
সর্বশেষ বিকেল ৪টা ৩০ এর অর্থায়ন, হিসাবরক্ষন এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ক সেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর মোঃ জাহিদ ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরী।
সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এই প্রোগ্রামে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে সরাসরি আলোচনা করার মাধ্যমে পুরো আয়োজনকে একটি প্রাণবন্ত শিক্ষনীয় সময়ে রুপান্তর করেন।
মন্তব্য করুন