তাঁতের কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কমলগঞ্জের মুসলিম মণিপুরী জান্নাতুন বেগম
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলের হাওর গ্রামের মণিপুরী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলিম মণিপুরী মহিলারাও তাঁতের কাজ করে সংসারের সফলতা আনছেন। তাঁতের কাপড় দেশে ও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় মণিপুরী মহিলারা নানা রঙ্গের হাতে ফুল ফুটিয়ে তুলেন শিল্পকর্মে। তেমনি মনিপুরী এক মহিলা জান্নাতুন বেগম তাঁত শিল্প তৈরী করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
জান্নাাতুন বেগমের স্বামী রেহান উদ্দিন পেশায় কৃষক। রেহান উদ্দিন কৃষি কাজ করে ৩ ছেলে ১ মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে খুব কষ্ট হত। সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকত। স্বামীর এই অভাবের সংসারে জান্নতুন বেগম তাঁত শিল্পে কাজ করে স্বামীর পাশে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁত শিল্পের কাজের বাঁধা হয়ে দাড়ায় জান্নাতুনের। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চড়া সুদে মহাজনের নিকট থেকে টাকা এনে কাজ করা খুবই কষ্ঠ হয়ে দাড়ায়। এমতাবস্থায় জানতে পারেন মুসলিম এইড নামে আর্ন্তজাতিক সাহায্য সংস্থার ঋণ বিতরনের কথা। জান্নাতুন বেগম মুসলিম এইড গোলের হাওর সমিতিতে ২০০৯ সালে ভর্তি হন। প্রথমে ৬ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। তার মাধ্যমে সুতা ক্রয় করে নিজ হাতে কাপড় তৈরী করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুজে পান। পর্যায়ক্রমে ৮ বার ঋন নিয়ে যথা সময়ে পরিশোধ করে বর্তমানে দুটি তাঁতের মালিক।
আলাপকালে জান্নাতুন বেগম বলেন, মুসলিম এইড থেকে প্রথমে সুদ মুক্ত ঋণ নিয়ে আমার পরিবার অনেক লাভবান হয়েছে। যা দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১৪ টি শাড়ি তৈরী করেন। স্থানীয় আদমপুর বাজরে বিক্রি করে আয় করেন মাসে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। এক সময়ে পরিবারে অভাব অনটন লেগেই থাকত। বর্তমানে তারা নিজের পায়ে দাড়িয়েছেন । তাদের এই স্বাবলম্বী হওয়ার পেছনে মুসলিম এইডের অবদানের কথা তারা স্বীকার করেন।
মুসলিম এইড কমলগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান মানিক বলেন, মুসলিম এইড ২০০৫ সাল থেকে কমলগঞ্জে ডিপ টিওবয়েল ও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম এর কাজ করে যাচেছ যার মাধ্যমে অত্র এলাকার ২৫০০ পরিবার বিভিন্ন প্রকার সেবা গ্রহন করছে।
মন্তব্য করুন