দশ দিনের প্রশিক্ষণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী নারীরা শিখলো মনিপুরী কাপড় বুনন
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2025/02/Messenger_creation_A1ECE6A9-2A75-4431-AC71-3D6E50FA6C5B.jpeg?fit=800%2C445&ssl=1)
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আদিবাসী ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারীরা এখন মনিপুরী শাড়ি, চাদর, গামছা, মাফলার ইত্যাদি বুনন করতে পারে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মনিপুরী তাঁতশিল্প সংরক্ষণ ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে তাঁতশিল্পের উপর দশ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ এ অংশ নিয়ে মনিপুরী তাঁতশিল্পের কাজ শিখেছে তারা।
গত ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই) আয়োজনে উপজেলার ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা ডলুবাড়ি ত্রিপুরা পল্লীতে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণে ৩০ জন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী অংশ নেন। বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি টানা দশ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের কো অর্ডিনেটর রবিউল ইসলাম রাসেল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মনজুরুল হক, সোনালী ব্যাংক এর শ্রীমঙ্গল শাখার এজিএম শফি চৌধুরী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া মেরি চুমুই ত্রিপুরা বলেন, তাঁতশিল্প নিয়ে আমার খুব আগ্রহ ছিল। আমি তাতের কিছু পারতাম না। এই প্রশিক্ষণে এসে সুতা গুছানো, তাতে সুতা লাগানো, শাড়ি বুননের কৌশল শিখতে পেরেছি।
বিনতা দেববর্মা নামের আরেক নারী বলেন, আমরা ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারীরা তাতের ছোট ছোট কাজ পারি, কিন্তু, শাড়ি তৈরী করিনি। এখানে প্রশিক্ষনে অংশ নিয়ে আমাদের গ্রামের ৩০ জন নারী শাড়ি বুনন শিখছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা তাত কখনো ছুয়েও দেখেনি।এখানে এসে কাজ শিখতে পারছে। আমরা নারীরা বাসায় থেকে এই শাড়ি বুনন করে বাড়তি টাকা উপার্জন করতে পারবো। এই প্রশিক্ষণটি আমাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন বলেন, পর্যটন এলাকা হওয়ায় শ্রীমঙ্গলে আসা পর্যটকদের কাছে মনিপুরী পন্যের চাহিদা আছে। এই নারীরা এসব শাড়ি শিখতে পেরেছে দেখে ভালো লাগলো, আমরা তাদের তাঁত কেনার জন্য ঋণ ব্যবস্থা করবো। আর এধরনের প্রশিক্ষণ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন