দীর্ঘ বন্যার প্রভাব বড়লেখায় বন্যায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা বিধ্বস্ত : চরম জনদুর্ভোগ ক্ষয়ক্ষতি ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশংকা
আবদুর রব॥ বড়লেখায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) ২৪৭ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। যা গ্রামীন সড়ক হিসেবেই পরিচিত।
এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাগুলোতে পানি উঠতে শুরু করে। বন্যার অবনতিতে গত দেড় মাস ধরে ৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে যায়। এতে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বর্নি, তালিমপুর ও সুজানগর ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়ায় ৯০-৯৫ ভাগ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। আশংকা করা হচ্ছে বন্যা এসব রাস্তা বিধ্বস্ত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জবাজার-ভোলারকান্দি, সুজানগর-বাঘমারা ভায়া কানুনগোবাজার, তেরাকুড়ি ভায়া কাটালতলী রাস্তার বিভিন্ন স্থান এখনও পানিতে নিমজ্জিত থাকতে দেখা গেছে। স্রোতের তোড়ে বেশিরভাগ রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। অসংখ্য গভীর গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে এলাকাবাসী বিধ্বস্ত এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। দাসেরবাজার-বাছিরপুর ৪১ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৬ কিলোমিটার এলাকা দেড় মাস ধরে নিমজ্জিত থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বড়লেখা পাখিয়ালা চৌমুহনী হতে হাকালুকি কানুনগোবাজার রাস্তার প্রায় ৭ কিলোমিটার পানির নিচে। দাসেরবাজার-বর্নি-গোদাম বাজার রাস্তার ৪ কিলোমিটার ডুবে থাকায় দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষজন নৌকায় চলাচল করছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৯টি রাস্তার ৫০ কিলোমিটার এলাকা নিমজ্জিত হয়ে বেহাল হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা রাস্তা ছাড়াও শুকনো স্থানেও বড় ও গভীর গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এসব রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভুষণ পাল জানান, ১৩ জুলাই পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত থাকার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরের ভারী বর্ষণে আরো ৮ কিলোমিটার রাস্তা তলিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রাস্তা ডুবে রয়েছে। প্রাথমিক হিসেবে দেখা গেছে রাস্তা ডেম্প ও বিধ্বস্ত হয়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্যার উন্নতি না হলে এ হিসেব আরো বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন