দুই ডাকাতের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী লুন্টিত মালামালের ভাগ ভাটোয়ারার জের ধরেই গৌছ ডাকাতকে হত্যা
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত মারুফ আহমদ (২৫) ও জামিল আহমদ (১৯) জুড়ীর গৌছ ডাকাতকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ২৪ মে মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার জ্যেষ্ট বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে তারা জানায় ডাকাতির লুন্ঠিত মালামালর ভাগবাটোয়ারার জের ধরে অন্যান্য ডাকাত সদস্য মিলে গৌছ ডাকাতকে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারকৃত মারুফ বড়লেখার পশ্চিম সুড়িকান্দি গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে এবং জামিল আহমদ মুড়াউল গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, চলিত বছরের ১০এপ্রিল রাতে ডাকাতির মালামালের ভাগ ভাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ডাকাত দলের সদস্যের হাতে খুন হন গৌছ উদ্দিন নামে জুড়ীর এক কুখ্যাত ডাকাত। খুন করার পর ডাকাত দলের সদস্যরা গৌছের লাশ উপজেলার পালপাড়া এলাকার একটি ধান খেতে ফেলে দেয়। ঘটনার দুইদিন পর ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ধান খেতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। জুড়ী থানা পুলিশ গৌছের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করে। পুলিশ লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। এ ঘটনায় থানার এসআই আক্তারুজ্জামান মামলা করেন। লাশ উদ্ধারের প্রায় এক মাস পরে গৌছের স্বজনেরা জুড়ী থানায় ছবি ও কাপড় দেখে লাশটি গৌছের বলে সনাক্ত করেন। গৌছ উদ্দিন জুড়ী উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত নুরুজ আলীর ছেলে।
পরে গৌছের পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্য ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কললিষ্টের সূত্র ধরে গৌছ উদ্দিন হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ। ঘটনার প্রায় দেড় মাসের মাথায় সোমবার রাতে সহকারি পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) জুনায়েদ আলম সরকারের নেতৃত্বে বড়লেখা থানা পুলিশ উপজেলার সুড়িকান্দি ও মুড়াউল গ্রামে অভিযান চালিয়ে মারুফ আহমদ ও জামিল আহমদকে গ্রেপ্তার করে।
বড়লেখা থানার ওসি মনিরুজ্জামান গৌছ উদ্দিন ডাকাত হত্যায় জড়িত দুই ডাকাত গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। ডাকাতি করা মালামালের ভাগ ভাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে তারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন