দুই মাকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ বড়লেখায় কুয়া থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় কুয়া থেকে মারজান আহমদ নামের ৩ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারজান উপজেলার দক্ষিণভাগ দ. ইউপির পূর্ব দোহালিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ১ম স্ত্রীর সন্তান। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বাড়ি সংলগ্ন কুয়ায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে শিশুটির মৃত্যু নিয়ে এলাকায় রহস্য দেখা দেয়ায় প্রকৃত কারণ জানতে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই দুপুরে শিশুটির আপন মা ও সৎ মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মৌলভীবাজারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
থানা পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক ৮টায় শিশু মারজান আহমদকে তার মা বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে পাশের ঘরে মাছ কাটতে যান। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে শিশু মারজানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজতে থাকেন। বিষয়টি স্বামীকে মোবাইল ফোনে জানান। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারজানকে ঘর থেকে আনুমানি ১০০ ফুট দূরের একটি কুয়ায় পাওয়া যায়। পরে বাড়ির লোকজনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শিশুটির লাশ নিয়ে পরিবারের লোকজন বাড়িতে চলে যান। কিন্তু শিশুটির কুয়ায় ডুবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ দেখা দিলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এরপর শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে আপন মা ও সৎ মাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
থানার ওসি (তদন্ত) দেবদুলাল ধর জানান, ‘শিশুটির ঘরে আপন মা ও সৎ মা রয়েছে। ঘটনার দিন দুই মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তত করে। শিশুটির মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়ায় মৃতের প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।’
মন্তব্য করুন