দুবাইতে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন দদবুর্জ আজিজি
তোফায়েল পাপ্পু (দুবাই): দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আধুনিক শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র, যা বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও উন্নত শহর হিসেবে পরিচিত। দুবাইকে বলা হয় বিশাল ভবনের শহর, যেখানে স্থাপত্যশৈলীর চূড়ান্ত উদাহরণ ফুটে ওঠে। এখানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা, আইকনিক বুর্জ আল আরব, এবং পাম জুমেইরার মতো চমৎকার প্রকল্প রয়েছে। শহরটি তার আকাশচুম্বী ভবন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, এবং নান্দনিক নকশার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
এবার দুবাইয়ের আকাশচুম্বী ভবনের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরেকটি চমকপ্রদ সংযোজন, বুর্জ আজিজি। ৭২৫ মিটার উচ্চতা এবং ১৩২ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি ২০২৮ সালের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে পরিচিতি পাবে। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী এবং প্রযুক্তির অনন্য সমন্বয়ে তৈরি এই প্রকল্প দুবাইয়ের আকাশচুম্বী ভবনগুলোর মধ্যে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম খালিজ টাইমস সুত্রে জানা যায়, ৬ বিলিয়ন দিরহাম বাজেটে নির্মিত এই প্রকল্পটি শুধু উচ্চতায় নয়, বরং স্থাপত্যশৈলীতেও ব্যতিক্রমী। এর নকশা করেছে দুবাইয়ের খ্যাতনামা স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান এ.ই ৭, যারা বহুমুখী ব্যবহারের ভবন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। ভবনটির ভিত্তি ৭০ মিটার গভীর, যা বুর্জ খলিফার চেয়েও গভীর। তবে ৫৭ মিটার ী ৫৭ মিটার জায়গার ওপর নির্মিত হওয়ায় এটি বিশ্বের অন্যতম সরু টাওয়ার হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বুর্জ আজিজি ভবনটিতে থাকবে বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল লবি, বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট, নাইটক্লাব, এবং অবজারভেশন ডেক। এখানে থাকবে একটি সাত তারকা হোটেল, যা সাতটি ভিন্ন সাংস্কৃতিক থিমে সাজানো হবে। এছাড়াও থাকবে: ভার্টিকাল শপিং মল, বিলাসবহুল পেন্টহাউস এবং অ্যাপার্টমেন্ট, সুস্থতা কেন্দ্র, সুইমিং পুল এবং সিনেমা হল, শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, অ্যাড্রেনালিন জোন, যা মেঘের মধ্যে থাকার অভিজ্ঞতা দেবে রাতে টাওয়ারটি এলইডি লাইট শো প্রদর্শন করবে, যা দুবাইয়ের স্কাইলাইনে এক ভিন্নমাত্রার সৌন্দর্য যোগ করবে।
বুর্জ আজিজি শুধুমাত্র একটি ভবন নয়; এটি দুবাইয়ের উদ্ভাবনী শক্তি এবং স্থাপত্যশৈলীর উজ্জ্বল উদাহরণ। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আজিজি ডেভেলপমেন্টসের চেয়ারম্যান মিরওয়াইস আজিজি ভবনটিকে দুবাইয়ের অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৮ সালে নির্মাণ সম্পন্ন হলে বুর্জ আজিজি বিশ্ব স্থাপত্যের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে এবং পর্যটকদের জন্য হবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
মন্তব্য করুন