দুবাইয়ে নির্মিত হবে ভাসমান মসজিদ

September 25, 2023,

তোফায়েল পাপ্পু, দুবাই॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিশ্বে প্রথম বারের মতো ভাসমান মসজিদ নির্মাণ করার ঘোষনা দিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পেও এক অনন্য আকর্ষণ যোগ করবে এই মসজিদ।

নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৫ কোটি ৫০ লাখ দিরহাম। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৬৪ কোটিরও বেশি। দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ডচ্যা রিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ (আইএসিএডি) প্রকল্পটির ঘোষণা দেয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসিএডির মহাপরিচালক ড. হামাদ আল শেখ আহমেদ আল শাইবানিসহ বিভাগের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিশিষ্ট কর্মকর্তারা। ইসলামি পর্যটনকে আরও শক্তিশালী করতে উচ্চাবিলাসী এই ধর্মীয় প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

মসজিদটি তিন তলা বিশিষ্ট হবে এক তলা থাকবে সাগরের নিচে। আর বাকি দুই তলা পানির উপরে। প্রথম তলায় থাকবে নামাজ আদায়ের জায়গা।

যাতে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথমদিকে ৬০০ মুসল্লির জন্য বিস্তৃৃত পরিসরে এটি উন্মুক্ত করা হবে।

২ হাজার বর্গ ফুট জুড়ে বিস্তৃত মসজিদের নির্মাণ কাজ চালু হবে চলতি বছরের অক্টোবরে। নির্মাণে সময় লেগে যাবে প্রায় ১২ মাস।

প্রথম তলায় ওজুর সুবিধা ও ওয়াশ রুমের সুবিধাও থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ইসলামিক বক্তৃতা ও কর্মশালার আয়োজনের জন্য একটি বহুমুখী হল। আর তৃতীয় তলায় থাকবে কুরআন প্রদর্শনী কেন্দ্র।

খালিজ টাইমসের শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, মসজিদের অবকাঠামোর পানির উপরের অংশে থাকবে বসার জায়গা আর একটি কফি শপ। নিচতলার নামাজের কক্ষে বসে সমুদ্রও

দেখতে পারবেন মুসল্লিরা। এ লক্ষ্যেই নামাজ ঘরের এক পাশে বিশাল একটা কাচের দেওয়াল দেওয়া হবে। মসজিদটি সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তবে দর্শনার্থী নারী-পুরুষ প্রত্যেককেই পরিধান করতে হবে শালীন পোশাক। মেনে চলতে হবে ইসলামিক ঐতিহ্য ও রীতিনীতি। নারীদের ক্ষেত্রে মাথা-কাঁধ ঢাকা থাকে এমন পোশাক।

মসজিদটির নির্মিত হবে অবস্থান এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটি উপকূলের খুব কাছাকাছি হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগের কালচারাল কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট আহমেদ খালফান আলমন সুরি।

মসজিদে আসা পর্যটক ও নামাজ আদায়কারীরা মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সেতু দিয়ে মসজিদে ঢুকবেন বলে জানান তিনি।

দুবাইয়ে ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্পর লক্ষ্য হলো একটি বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে দুবাইয়ের মর্যাদা প্রচার করা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘোষিত দুবাই কৌশল-২০২৫ সালে দুবাইকে বিশ্বের সর্বাধিক পর্যটকের শহরে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।

প্রকল্পটি চালু হলে এদেশে পর্যটকদের পরিদর্শনের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলিজিয়াস ট্যুরিজম ইনিশিয়েটিভের প্রধান ড. আবদুল্লাহ ইব্রাহিম আব্দুল জব্বার বলেন, এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দুবাই ইফতার, ধর্মীয় প্রতিনিধিদের একটি অনন্য সমাবেশ আর ঐতিহাসিক, নতুন আর বিশিষ্ট মসজিদ পরিদর্শনসহ একাধিক উদ্যোগ।

আলমন সুরি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বৈশ্বিক পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তিনি নিরাপত্তা, আতিথেয়তা আর বৈচির্ত্যের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খ্যাতির কথা উল্লেখ করে সাংস্কৃতিক সেতু বন্ধনে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com