দুর্গাপুজার ম-পে সরকারী বরাদ্দ বড়লেখায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা পুজা উদযাপন কমিটির পকেটে
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় ১৩২ টি সার্বজনিন দুর্গাপুজা ম-পে সরকারীভাবে প্রায় ২৪ লাখ টাকার ৬৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি ম-পে এসব চাল না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে নগদ টাকা প্রদান করেছে। এক্ষেত্রে ম-প প্রতি ৫০০ টাকা করে উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি অর্ধ লক্ষাধিক টাকা পকেটস্থ করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার পাল বলেছেন ম-পের স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও অন্যান্য খরচ বাবত এ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।
জানা গেছে, বড়লেখায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গপুজা উদযাপনের জন্য ১৩২টি সার্বজনিন পুজা মন্ডপে ভক্তদের আহারের জন্য সরকার থেকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ৬৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া যায়। উপজেলা পুুজা উদযাপন কমিটি ম-পগুলোর সভাপতি ও সম্পাদককে ম্যানেজ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সরকারী বরাদ্দের ৫০০ কেজি চাল না দিয়ে নগদ টাকা বিতরণ করেন। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক প্রতি ম-পের বরাদদ্দকৃত চাল ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রতিটি ম-পকে ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগি হিসেবে ৬৫ হাজার ৫শ’ টাকা পকেটস্থ করেছেন।
উপজেলার তালিমপুর ইউপির বাংলাবাজার সার্বজনিন দুর্গাম-প পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দাস, শংকরপুর দুর্গা ম-পের সভাপতি ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার চক্রবর্তী জানান, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি বরাদ্দকৃত ৫০০ কেজি চাল ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও তাদেরকে ৫০০ টাকা কম দিয়েছেন। কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান সারা বছরের সভা ও যোগাযোগ খরচ বাবত টাকাগুলো কেটে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার পাল প্রতি টন চাল ৩২ হাজার টাকায় বিক্রির এবং প্রতি ম-প থেকে ৫০০ টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে জানান স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও অন্যান্য খরচ বাবত এ টাকা আদায় করেছেন।
মন্তব্য করুন