দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজার আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মো: সুজন মিয়া (৩৭)-কে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
১০ এপ্রিল দুপুরে শহরের চৌমুহনী চত্বরে দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মো: মাহবুবুল আলম শামীম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: মশাহিদ আহমদ-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও চ্যানেল এস- এর হেড অব নিউজ খালেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট দাবাড়ু-ক্রীড়া সংগঠক মোস্তাক আহমদ মম, সিনিয়র আইনজীবি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, এডভোকেট হাফিজ আব্দুল আলীম, এডভোকেট বিল্লাল হোসেন, এডভোকেট ইমরান লস্কর, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: জাফর ইকবাল, সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাব ও মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর সহ-সভাপতি জোসেফ আলী চৌধুরী, দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি শেখ ফয়েজ আলী, সহ-সভাপতি অঞ্জন প্রসাদ রায় চৌধুরী, মাওলানা শরীফ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক চিনু রঞ্জন তালুকদার, সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খাঁন, সাংবাদিক রিপন আহমদ, সাংবাদিক শাহ ফজলুর রহমান, সাংবাদিক মোনায়েম খান, সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম পাপ্পু, সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ফৈরাজ, সাংবাদিক বিজয় শাহ, সাংবাদিক বিকাশ দাশ, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরামের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাবেল ও মো: সেলিম প্রমুখ। উল্লেখ্য মৌলভীবাজার পৌরসভার সম্মুখে বিগত ৬ এপ্রিল রাতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা চটপটি ও ফুসকার দোকানে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মৃতের ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা (নং- ১৫, তারিখ : ০৮/০৪/২০২৫ইং) অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অ্যাডভোকেট সুজন মিয়ার আকস্মিক ও অকালর মৃত্যুতে জেলা সদর ও আইন অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। পরদিন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি আদালতে পূর্ণ কর্মবিরতী পালন করে। কোর্ট প্রাঙ্গনে মানববন্ধন কর্মসূচী, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্বারকলিপিসহ প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতারের জোর দাবী জানান।
গত ৯ এপ্রিল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৫ আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পুলিশের দাবী- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের নজির মিয়া মুজিব (২৫)-এর সাথে পূর্ব বিরোধের জের হিসাবে একই গ্রামের অগ্রণী ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কর্মরত মিসবাহ-কে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। এক পর্যায়ে নজির মিয়া‘র পূর্ব পরিচিত লক্ষণ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মিসবাহকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে লোক নিয়োগ করে। বিগত ৬ এপ্রিল রাতে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি মোবাইলের ইমুতে ভিডিও কলের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ-কে শনাক্তের জন্য পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া @ মুজিব-কে অবহিত করে। পরে নজির মিয়া সনাক্ত করলে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। মূলত : সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ-কে হত্যার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু চেহারায় হুবহু মিল থাকায় তরুন আইনজীবী সুজন মিয়া-কে হত্যা করা হয়। আলোচিত এ হত্যা কান্ডের বিষয়ে আরো অন্য কোন কারন রয়েছে কি না তা অধিকতর তদন্তের দাবী জানান তার সহকর্মীসহ সচেতন নাগরিকবৃন্দ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখা, দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরাম ও দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, চাকুরীজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন