দেশের চা শিল্পে ভবিষত শ্রমসংকট মোকাবেলায় মেকানাইজেশন পদ্ধতির উপর গবেষনার প্রয়োজন- চা বোর্ড চেয়ারম্যান
বিকুল চক্রবতী॥ ভবিষত শ্রমসংকট মোকাবেলায় মেকানাইজেশন পদ্ধতির উপর গবেষনা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।
১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের সেমিনার হলে সকল চা বিজ্ঞানীদের সাথে চায়ের কোয়ালিটি এবং উৎপাদনের সমন্বয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন চা বোর্ড চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি চায়ের গুনগতমান ও উৎপাদন সম্মুন্নত রাখতে চায়ের উন্নত জাত নির্বাচন, আধুনিক পেস্ট দমন কৌশল নির”পন, সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ, মাটিতে জৈব সারের পরিমান বৃদ্ধি ও আগাছা দমন কৌশল নিধারণে চা বিজ্ঞানীদের সোচ্চার হওয়ারও নির্দেশ দেন। বিশেষ করে ভবিষতে চা বাগানে যদি শ্রম সংকট দেখাদেয় সে জন্য এখন থেকেই যান্ত্রিক পদ্ধতির উপর গবেষনা করে রাখারও নির্দেশ তার। এ জন্য বিদেশ থেকে চায়ের প্লাকিং মেশিন (চা পাতা উত্তোলণের যন্ত্র) প্রুনিং মেশিন ( সমান ভাবে চা গাছের মাথা কাটার যন্ত্র)সহ আরো যন্ত্রনির্ভর মেশিন সংগ্রহ করে গবেষনা করার পরামশ্যদেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্র ও চাবোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. মাইন উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র চা বিজ্ঞানী এস এম আলতাফ হোসেন, সিনিয়র চা বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ আলী, চা বিজ্ঞানী ইসমাইল হোসেন, আব্দুল কায়ুম খান, অসীম কুমার সাহা, শামীম আল মামুন, শেফালী বুনাজী ও উন্নয়ন কর্মকর্তা রফিকুল হকসহ ২৪ জন চা বিজ্ঞানী ও চা উন্নয়ন কর্মকর্তা।
মতবিনিময় সভায় ১৯৫৭ সাল থেকে চায়ের সৃষ্টি, বর্তমান ও ভবিষত নিয়ে বিশেষ মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন বিটিআর আই পরিচালক ড.মাইন উদ্দিন আহমেদ।
একই সাথে মতবিনিময় সভায় চা বিজ্ঞানীরা বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গবেষনার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের সময়ে গবেষনা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি সাইটেই উন্নয়নের মাধ্যমে আমুল পরিবর্তন আনা হয়েছে। যা বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের জন্য এক মাইলফলক উদ্যোগ।
মন্তব্য করুন