দেশ দেশ দেশ এভাবে কী খুন ,ঘুম ও ধর্ষনে হয়ে যাবে নিশ্বেস, বাংলাদেশ সমাচার
এস,আহমেদ॥ সেই পাকিস্তান থেকে বের হয়ে নতুন সপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধু এতদঅঞ্চলের মনুষকে একত্রিত করেছিলেন। পরিবর্ততীতে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্ব বুকে লাল সবুজের বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন দেশ রুপে আত্মপ্রকাশ করে । এই স্বাধীনতার সময়ে বিশ্ব জনমত তৈরিতে লন্ডন প্রবাসী সিলেটিরা জোরালো ভূমিকা পালন করে। তখনকার সময়ে সাবেক পররাষ্ট্রপতি ও স্পিকার মরহুম হুমায়ুর রমীদ চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধেও সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম,এ,জি ওসমানীর কথা শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করছি।আজ সিলেট বড় অবহেলিত রেল ব্রিজের করুন দশা ব্রিটিশরা ছেড়ে যাওয়ার পর যে আবস্থা ছিল সেই তিমিরেই আছে। আমি ঐ দিন ট্রেনে সিলেট যেতে বরংচালে দর্ঘটনা কবলিত ব্রিজ টি দেখতে পেলাপ কোন রকমে বাশ আর নাট বল্টু দিয়ে ঠিক করা হয়েছে। এরকম আরও শত ব্রিজ সিলেট আখাউড়া রেল লাইনে দৃশ্যমান যা যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়তে পাড়ে। সরকারের হর্তাকর্তারা বলছেন বি,এন,পি এর আমলে নাকি রেলে দিকে নজর দেয়া হয় নাই তাহলে আখাউড়া বাইপাশ আজংপুরে যে বাইপাস কওে দিয়েছিলেন সাবেক অর্থ মন্ত্রী সাইফুর রহমান ঐ দিন ঐ পথে যেতে সাইফুর রহমানের কথা খুব মনে পড়েছিল। সরকার নাকি রেলের পথে আখাউড়া থেকে সিলেট ডাবল ব্রডগেজ করে দিবে। আমি এখঅনে কিছু কথা বলতে চাই শ্রীমঙ্গল থেকে সমশের নগর ভানুগাছে পাহাড়ি পথে যেতে সামান্য বৃষ্টির কারনে পাহাড় থেকে প্রায়ই গাছ ভেঙ্গে রেল লাইনে পড়ে বা পাহাড় ধসের কারনে রেল চলাচল বিঘিœত হয়। তাই আমি প্রস্তাব করব শ্রীমঙ্গল থেকে মৌলভী বাজার হয়ে কুলাউড়া তারপর সিলেটে লাইন করা যায় তাহলে নিরাপদ যাত্রা হবে। একবার এরুপ একটি চিন্তা হয়েছিল বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী বৃহত্তর সিলেটের । সুনামগঞ্জে বাড়ি যার তার সুনাম আছে। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শেরপুর হয়ে বাইপাস সড়কের পাশ দিয়ে ব্রডগেজ লাইন করা যায় এতে সিলেটবাসী উপকৃত হবে এবং ৩ ঘন্টা সময় কমে সিলেট পৌছে যাবে। আজ সিলেটবাসী বড় অবহেলিত কে তাকে আশার বাণী শুনাবে । সোনার বাংলার সপ্ন আজ খুন,ঘুম ও ধর্ষনে আজ ধুলিস্মাত হয়ে গেছে। সব সোনা হয়ে গেল কয়লা-ময়লা। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার কয়লার ট্রাক রাতের আধাওে চলে যায় সীমান্তের ওপারে । আবার আমরা সেই কয়লা আমদানি করি ।চারিদিকে বাংলাদেশে দালাল দিয়ে এজেন্ড ঢুকিয়ে বিশাল অংকের টাকায় ম্যনেজ করে দেশটাকে চুরি, চামারি, ডাকতি করা হচ্ছে। এমন দেশ কী আমরা চেয়েছিলাম? এখন আমাদের অবস্থা এত ছোট যে প্রতিবেশী তো আছেই অনেক দেশ আমাদের নিয়ে খেলে । পাকিস্তান সৃষ্টির সময়ে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে বার্মা বর্তমান মায়ানমারকে তাদেও শত্রু বাহীনির দায় নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ব্রিটিশরা সংযুক্ত করতে যেয়ে কায়দে আজম জিন্না পাকিস্তানের সপ্নদ্রষ্টা কিছু না বুঝে বলে ফেল্লেন যে এদিকে পূর্ব পাকিস্তানের সীমানা বর্ধিত করবেন না।তাই মায়ানমার ও আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায় । এরপর ১৫ ই আগষ্ট ১৯৪৭ সাল ত্রিপুরা রানী ভবানী বর্ধমান হাউস বর্তমান বাংলা একাডেমী তখনকার গভর্নর লিয়াকত আলী খানের সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও সাক্ষাত পাননি । তার ইচ্ছা ছিল একই ভাষাভাষি ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার তথা পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়া। তিনি জানতেন না তি এ দিকে না ভারতের দিকে।এর আগে ১৭৫৭ সালের ইতিহাস নবাব সিরজউদ্দৌলার ইতিহাস পাঠ করলে দুঃখ লাগে যদি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন না হত বাংলা বিহার উড়িষ্যা নিয়ে একটি বৃহৎ দেশ হত তাহলে আমরা বিশ্বে সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হতাম। আজ মায়ানমারের মত দেশ আমাদের নিয়ে খেলে যেমনি নাচায় তেমনি নাচি পুতুলের কী দোষ। আজ আমেরিকাকে গরিব দেশ বলে উপহাস করা হয়। অথচ, রাখাইনকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করতে আমেরিকার কংগ্রেস এ তারাই প্রস্তাব তুলেছে।আমি বলব,হাসিনা পুত্র আই,টি উপদেষ্টা জয় তো আমেরিকায় বাস করছেন তিনি যদি লবিস্ট নিয়োগ করে এমেরিকার কংগ্রেস এর প্রস্তাবকে শক্তি , সাহস দেন তাহলে ভাল হবে। আমেরিকায় হঠাৎ করে কেহ বড়লোক হয় না সিনেট কংগ্রেস ও প্রতিনিধি পরিষদ সমন্ময়ে আমেরিকার গনতন্ত্র ধাবমান এখানে বাংলাদেশের সাথে তাদের তফাত এটাই। তারা সিস্টেম এ কাজ করে আমাদের সেনাবাহীনি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে, নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশের থেকে যে কর্মকর্তগন স্ব-স্ত্রীক ভারত সফরে গিয়েছিল এসে কী ভূমিকা নিয়েছিল সে ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। তবে, এখন ভারতে মুসলিম নিধন চলছে । ভারতের যে সেন কর্মকর্তরা বাংলাদেশ সফরে আসছেন তাদেরকে যদি ঠিকমত আদর আপ্যায়ন করে ঐ মুসলিমদেও পক্ষে দাড়ানোর জন্য দীক্ষা দেওয়া যায় তাহলে টিট ফর টেট হবে এবং এতে তারা সোয়াব এর ও ভাগীদার হবে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘেও তাদেও রক্ষাকল্পে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। আল্লাহ দেশের মঙ্গল করুক আমিন।
মন্তব্য করুন