ধর্মের মা ডেকে অসুখ সারানোর নামে প্রতারণা বড়লেখায় ৪ তোলা স্বর্ণ নিয়ে তান্ত্রিক সাধক সাপুড়ে উধাও
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় গ্রামের সহজ সরল এক মহিলাকে ধর্মের মা ডেকে অসুখ সারানোর নামে ৪ তোলা স্বর্ণ নিয়ে উধাও হয়ে গেছে কথিত তান্ত্রিক সাধক সাপুড়ে মামুন। ১ জুলাই শুক্রবার হতভাগী সালিমা বেগম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট প্রতারক সাপুড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে বিষয়টি বিভিন্ন মহলে জানাজানি হয়।
জানা গেছে, ২৫ জুন উপজেলার তালিমপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি থেকে সাপুড়ে মামুন কয়েকটি বিষাক্ত সাপ ধরে। পরদিন ২৬ জুন সে পুনরায় গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তী সালিমা বেগমকে মা ডেকে তার শরীরে বিভিন্ন কঠিন রোগ রয়েছে বলে জানায়। নিজেকে বড় তান্ত্রিক সাধক দাবী করে সাপুড়ে মামুন অসুখ সারানোর অনুমতি চায়। সরল বিশ্বাসে সালিমা বেগম ও তার স্বামী তাকে দিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি হন। তখন সাপুড়ে মামুন জানায়, এ কঠিন রোগ সারাতে ৪ তোলা স্বর্ণ জোগাড় করতে হবে। সাপুড়ের কথায় গৃহকর্তা ৪ তোলা স্বর্ণ যোগাড় করলে প্রতারক মামুন তাদের চোখ বন্ধ করতে বলে। এসময় সে স্বর্ণগুলো একটি সাপের সাথে হাড়ির ভিতর বেঁধে রাখে। চোঁখ খোলার পর সে গৃহকর্তা ও গৃহকর্তীকে হাড়িটি ঘরের ভিতর রাখতে বলে। হাড়িটি ঘরে রাখার পর কথিত তান্ত্রিক সাধক সাপুড়ে মামুন পরদিন হাড়ি থেকে সাপ বের করে দেবে ও স্বর্ণগুলো গৃহকর্তার হাতে তুলে দেয়ার কথা বলে চলে যায়।
২৭ জুন রাত পর্যন্ত না আসায় সাপুড়ে মামুনকে ফোন দিলে সে জানায়, সাপটি রাগ করেছে। তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিন। তার কথায় গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রী ঘর থেকে হাড়ি বের করে সাপটি ছেড়ে দেন। এরপর তারা স্বর্ণের বেঁধে রাখা পুটলিটি খোলে দেখেন তাতে স্বর্ণের বদলে পাথর। এরপর নিশ্চিত হন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সালিমা বেগম বলেন, ‘আমাকে মা ডাকায় আমি সরল বিশ্বাসে স্বর্ণ দিয়ে দেই। আমরা যখন চোঁখ বন্ধ রাখি তখন কৌশলে সে স্বর্ণগুলো সরিয়ে নেয়। এখন তার দেয়া নম্বরে ফোন করলে সে রিসিভ করে না।’
মন্তব্য করুন