ধর্ষক নর পশুদের প্রতি ধিক্কার, সাহসী বাবলা চৌধুরী, পুলিশ র্যাব ও আইনজীবীদের প্রবাস থেকে স্যালুট
মকিস মনসুর॥ খুনী বা ধর্ষকের কোনো জাত, গোত্র, দল, বর্ণ,ধর্ম এবং দেশ থাকেনা,ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই.ওরা নরপশু.১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেটের মুরারী চাঁদ কলেজ (এম সি কলেজে) ছাত্রাবাসে গনধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে আসা এক নববিবাহিতা।এই সংবাদের শুনার পরপরই আমরা করেছি প্রতিবাদ; জানিয়েছি ধিক্কার; এই নরপশুদের অবিলম্বে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে আজ ও ক্ষোভে উত্তাল সিলেট। চলছে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন সহ দেশে বিদেশে বিভিন্ন মহল থেকে ফেইসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড়। শুধু ধর্ষক নয়, ধর্ষকদের গডফাডারদের শাস্তি ও অধ্যক্ষকে শিক্ষাসাবাদ করার দাবিতে ও সিলেটের প্রতিবাদী জনতা আজ ওসোচ্চার ভৃমিকা পালন করে চলছেন। আজ ঘুম থেকে উটে খবর পেলাম। বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নি সহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৩০ শে সেপ্টেম্বর বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করায় মানণীয় বিচারক সহ সরকারকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
এদিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী মামলা দায়ের করেছেন. এই নরপশু ধর্ষকদের পরিচয় হচ্ছে;- ১)ধর্ষক শাহ মাহবুবুর রহমান রণি (বাড়ীঃ হবিগঞ্জ সে এম সি কলেজের ইংরেজী বিভাগের মাস্টার্সের স্টুডেন্ট)২)ধর্ষক মাহফুজুর রহমান মাসুম, (বাড়ীঃ সিলেট সদর, সে ও এম সি কলেজের ইংরেজী বিভাগের মাস্টার্সের স্টুডেন্ট)৩)ধর্ষক সাইফুর রহমান, (বাড়ীঃ বালাগঞ্জে) ৪)ধর্ষক অর্জুন, ( বাড়ীঃ জকিগঞ্জে) ৫)ধর্ষক রবিউল (বাড়ীঃ সুনামগঞ্জের দিরাই)
৬)ধর্ষক তারেক (বাড়ীঃ জগন্নাথপুর) ইতিমধ্যে আইন রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য স্থানীয় পুলিশ ও দায়িত্তশীল র্যাব কর্মকর্তাদের প্রবাস থেকে স্যালুট জানাচ্ছি।
আরেকটি আনন্দের সংবাদ হচ্ছে প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ এম. সি কলেজের ছাত্রাবাসে নরপশুদের ন্যাকারজনক ঘটনায় ধর্ষণকারীদের নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হচ্ছে সেই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজনগর উপজেলার, ৫ নং রাজনগর সদর ইউনিয়নের, ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের গর্বিত সন্তান মিহিত গুহ চৌধুরী বাবলা।স্থানীয়ভাবে বাবলা চৌধুরী নামেই পরিচিত।মেয়েটি ও তার স্বামী যখন কাঁদতে কাদতে যাচ্ছিল,তার সাথে পথে দেখা ,তিনি ঘটনা শুনলেন এবং বললেন এমন জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। এদের ছাড় দেয়া উচিত হবে না। বলেই বাবলাদা ফোন দেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। তবে পুলিশ আসার আগেই ওই নির্যাতিতা ও তার স্বামীকে নিয়ে ছাত্রাবাসের দিকে রওয়ানা দেন বাবলাদা। সাইফুর-রবিউল এর কাছ থেকে গাড়ির চাবি উদ্ধার করেন। গেইটে দাঁড়িয়ে পুলিশের অপেক্ষা করেন। পুলিশ আসে,এবং কয়েকজন নেতা ও নাকি সেখানে আসে। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন, তর্ক হয়, মীমাংসা করতে চান অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু বাবলাদা অনড় ছিলেন রাজী হননি। বাবলাদা বলেছিলেন তাদের ছাড় দেয়া উচিত হবে না। তিনি নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান। মেয়েটি ও তার স্বামী ধর্ষণকারীদের ফেইস চিনলেও নাম জানতেন না। বাবলাদাই বলে দেন তারা কারা। এবং বলেন তাদের বিচার হওয়া উচিত। আসলে মানুষ মানুষের পাশে থাকলে অপরাধ করতে ও অপরাধীরা চিন্তা করবে। বাবলাদার মত মানুষরা এভাবে পদক্ষেপ নিলে মেয়েরা সমাজে চলতে ভয় পাবে না।ভিকটিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রবাসী সিলেট তথা মৌলভীবাজার জেলাবাসীর পক্ষ থেকে সালুট ও অফুরন্ত ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা সহ বলতে চাই বাবলা আপনি সময়ের সাহসী সন্তান, আপনি ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন।মৌলভীবাজার জেলাবাসীর অহংকার। শুভ হোক আপনার আগামী দিনের পথচলা। এভাবে প্রতিটি শহরে পাড়া মহল্লায় সাহসী বাবলা চৌধুরীর মত আমাদের ছাত্র যুবক মানবতাবাদী জনতাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিৎ। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে অবশ্যই সমাজে দেশে অন্যায় অত্যাচার অবিচার অনৈতিক কর্মকান্ড অবশ্য ধীরে ধীরে বন্ধ হতে বাধ্য। তাই যার যার অবস্থান থেকে যথাযথ দায়িত্ত পালনে ভৃমিকা রাখা আমাদের সবার উচিৎ বলে আমি মনে করি।
অপরদিকে আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন সিলেটের আইনজীবীরা। ধর্ষণের অভিযুক্ত আসামীদের পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াননি। গণধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ টি এম ফয়েজ, সেক্রেটারী ফজলুল হক সেলিম ও জয়েন্ট সেক্রেটারী মাসুদুর রহমান খান মুন্না। বাদীকে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। সিলেট আইনজীবী সমিতির এই দৃষ্টান্ত এভাবে প্রতিটি কোর্টে আইনজীবি সমিতি ঐক্যবব্ধ হয়ে আগামীতে এই সব অপরাধীদের পাশে না দাঁড়ানো হোক আমাদের অঙ্গীকার। পরিশেষে বলতে চাই ৭১ এর মহাণ মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদানদের আত্তত্যাগ ও দু’লক্ষ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা পেয়েছি সেই মানচিত্রটাকে বার বার যে সব নরপশুরা নানাভাবে জাতিকে বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত করছে সেইসব নরপশুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করে আবার ও বলতে চাই অপরাধী খুনী বা ধর্ষকের কোনো জাত, গোত্র, দল, বর্ণ,ধর্ম এবং দেশ থাকেনা,ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই.ওরা নরপশু.ওদের ফাঁসির দাবি সহ ধর্ষকদের গডফাডারদের শাস্তির যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
(লেখক পরিচিতি:- ৯০ এর গন-আন্দোলনের বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা বৃটেনের কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর.যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইউকে ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগ সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়া ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাস্টিস ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ ইউকের সভাপতি. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী মুজিববর্ষ সার্বজনীন উদযাপন নাগরিক কমিটি ইউকে ওয়েলসের যুগ্ম আহবায়ক এবং হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইন ইউকের সভাপতি এবং বৃটেনের কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট ফাউন্ডার্স ট্রাষ্ট তথা শহীদ মিনার কমিটির সেক্রেটারি সহ ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ডেইলি সিলেট এন্ড দৈনিক মৌলভীবাজার মৌমাছি কন্ঠের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন)
মন্তব্য করুন