ধর্ষণ মামলার আসামি আওয়ামীলীগ নেতা রানু মহালদারের রাজত্ব দেখছেন বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার : জুড়ীতে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুজ্জামান রানু দীর্ঘদিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অনেকে বলছেন তিনি বিদেশে নয় দেশেই আত্মগোপনে আছেন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী এ নেতাকে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৪ মার্চ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে জুড়ী থানা পুলিশ।
দীর্ঘ তিন থেকে চার মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে লোক চোক্ষের আড়ালে চলে গেছেন ধর্ষণকারী রানু। এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি কিভাবে লাপাত্তা হলো দেশ এ নিয়ে চলছে জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিপুল বৈধ অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যান রানু। আর তার এসব অর্থ এবং ব্যবসার দেখভাল করছেন তারই প্রতিষ্ঠান গুরুগৃহ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদশা মিয়া। বাদশা মিয়া দীর্ঘ ২০ বছর স্কুলের পাশাপাশি রানুর গরু বাজারের দেখাশোনাসহ গরুর রশীদ কাটতেন।একপর্যায়ে রানু মিয়ার বিশ্বস্ততা অর্জন করায় তার বৈধ অবৈধ সব সম্পত্তির দেখাশোনার দায়িত্ব পান বাদশা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাদশাও পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ, হয়ে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। এদিকে রানু মিয়ার দেশ ত্যাগ ও আত্মগোপনের খবরে বাদশা আরো নড়েচড়ে বসেন। রানু মিয়ার রাজত্বে বাদশার বাদশাহী যেন কোন রাজাকেও হার মানায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী অভিযুক্তের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে মেয়েটির উপর কুদৃষ্টি পড়ে সামছুজ্জামান রানুর। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করার সুযোগ খোঁজতে থাকেন। শেষমেশ ধর্ষিতার মাকে ম্যানেজ করে তিনমাসে একাধিকবার ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। ওই কিশোরী এসব সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে পালিয়ে থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় ধর্ষক সামছুজ্জামান রানুসহ ধর্ষণে সহায়তাকারীদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন