ধলাই নদীর বাঁধের ভাঙ্গন মেরামতের দাবিতে কমলগঞ্জের শিমুলতলা গ্রামে ভাঙ্গন এলাকায় মানববন্ধন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার মণিপুরী অধ্যূষিত মাধবপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে ধলাই নদীর কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন শুর” হওয়ায় ছয়টি গ্রামের দুই শতাধিক বসত ঘর ও স্থাপনা হুমকির মাঝে পড়ে। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন মেরামতের দাবিতে সোমবার ২০ জুন দুপুরে মণিপুরী নারী-পুর”ষ ভাঙ্গন এলাকায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মাধবপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৪টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। টানা বৃষ্টিপাত হলে নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানি আসলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৫টি গ্রামের দুই শতাধিক বসত ঘর ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষক শচিন্দ্র সিংহ, সুভাসিনী সিনহা, মনো দেবী সিনহা, লক্ষণ সিংহ, নৃপেন্দ্র, সিংহ, প্রফুল্ল সিংহ, সুমন সিংহ ও চন্দ্রনাথ সিংহ অভিযোগ করে বলেন, বছর এ স্থানে ভাঙ্গন শুর” হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড লোক দেখানো মেরামত কাজ করে যায়। ফলে এ বছর একই স্থানে আবারও ভাঙ্গন শুর” হয়েছে। অচিরেই শিমুলতলা গ্রামের ধলাই নদীর ঝূঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত না করলে এ বর্ষায় নদীতে পানি বাড়তে থাকলে বাঁধটি সম্পূর্ণর”পে ভেঙ্গে যাবে।
শিমুলতলা গ্রামের ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের দাবিতে গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে সোমবার ভাঙ্গন এলাকায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। মানববন্ধন কর্মসূচির কথা শুনে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দ্র”ত শিমুলতলা গ্রামের নদীন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে গ্রামবাসীদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক শিমুলতলায় নদী ভাঙ্গন ও মানববন্ধনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ভাঙ্গন এলাকা থেকেই মুঠোফোনে বিষয়টি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথেও মুঠোফোনে কথা বলে, দ্র”ত শিমুলতলা গ্রামের প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও অনুরোধ করেছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন