নিরাপত্তা ঝুকিতে বাংলাদেশ, বাচার উপায় কি?
সাদেক আহমেদ॥ বাংলাদেশ স্বাধীণতার ৪৫ বছর অতিক্রম করল। এদেশের মানুষ খুবই সহজ স্বরল ও অতিথিয়তা পরায়ন। পরিশ্রমি জাতি নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্ব থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আনায়নে বিশেষ অবদান রাখছে। এছাড়াও প্রবাসে গিয়ে আমাদের দেশের মানুষেল কঠোর পরিশ্রমে রেমিটেন্স প্রবাহেও বাংলাদেশ এর বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল তছরুফ হয়ে যায়, সে ডলার এখনো বাংলাদেশ ফেরত পায়নি। বিভিন্ন সরকারী ব্যাংক থেকে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার পর সব পরিচালনা পর্ষদ থেকে সব সামরিক বাহীনির কর্মকর্তার নিয়োগ বন্ধ করে সব কিছুরই পলিটিক্যালাইস করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ন্যায় নীতির পরিপন্থি সবকাজ পুকুর চুরি সাগর চুরিরমত ঘটনা গুলো ঘটে যায়। অর্থ মন্ত্রী শেষ মেষ এসে এই চুরির কথা অকপটে মুখফুটে স্বীকার করেন। যে পুকুর চুরি বা সাগর চুরি ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বিসমিল্লার নামে করেছে তাহা কি ব্যাংলাদেশের ব্যাংক গুলো রিকভারী করতে পারবে। কারণ এতো চিচিং ফাক দেশের স্বাধারণ জনগণকে বিভিন্ন ভাবে হিংসা বিদ্বেষ এর বেড়া জালে ফেলে কায়েমী স্বার্থাবাদীরা তাদের একক রাজত্ব কায়েম করতে শতভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। তার পরেও দেশের বে-সরকারী বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো যেমন নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, এমেরিকান ইন্টারন্যাশনার ইউনিভারসিটি এছাগা আরো বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো জাতির মেধা ও মনণে ভবিষ্যৎ কা-ারী গড়ে তুলার চেষ্টা করছে। এককালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অক্সফোডের ইষ্ট হিসাবে শুনাম ছিল। আমিও এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের ১ম সেমিষ্টার ব্যবস্থাপনার ছাত্র ছিলাম। আজ দুঃখ লাগে যে, রাষ্ট্রিয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে সব কিছুতে অব্যবস্থাপনা। যোগ্য ও মেধাবীরা পড়া শুনা করার পরেও শুধু মাত্র রাজনৈতিক লেবাস না থাকলে ভালো যায়গায় পোষ্টিং পেতে বিরম্বনার স্বীকার হতে হয়। অথচ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে রাজনীতি করলে পড়া শুনা না করলেও অনেক ছাত্রাবস্তায় শুধু স্লোগান বা টেন্ডার বাজিতে যুক্ত হয়ে অনেকে লাখপতি হয়ে যায় বলে শুনা যায়। তার পরেও এখান থেকে ভালো ভালো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা বের হয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিসিএস এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে। আমাদের এখন এমন এক সময় পার করছি। যেন পুলিশের হাতে পুরাদেশ এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কাজে পুলিশকে ব্যবহার করার ফলে গুলশান, বারিধারা, বনানীর মত স্পর্ষ কাতর কুটনৈতিক এলাকাকেও পুলিশ নিচ্ছির্দ ি নরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে পারেনি। যা পুলিশের গত কয়েক বচরের পত্রিকার বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে জানাচ্ছিল। অথচ বগলে ইট মুখে শেষ ফরিদের মত মনে হয়। আজ আমি ২০০২ সালের সম্মিলিত বাহীর প্রতিরক্ষা বাহীনি সহ সম্মিলিত প্রায়াসের অপারেশন ক্লিনহার্টের কথা মনে করি যখন মানুষ ও বিদেশিরা পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ে সর্বত্ত চলাফেরা করতে পেরেছিল। যখন দেখে ছিলাম শ্রীমঙ্গলে লাউয়া ছড়ায় অবাদ বিদেশীদের যাতায়াত। আজ কারা লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরাপত্তা ঝুকিতে ফেলে? আমাদের দেশে মানুষ বা দেশ তো কোন দোষ করেনি? আবার কবে গুলশানের হলিজন রেস্তুরেন্ট খুলবে আবার কখন বিদেশী বায়ার ও পর্যটকদের পদচারনায় গুলশান বারিধারা মুখরিত হবে, সেই দিকেই চেয়ে থাকলাম। আজ আমাদের মেধাবী ছাত্ররা আমেরিকা, কানাডা বা অষ্ট্রেলিয়ার দিকে পারি জমাচ্ছ সেখানে গিয়ে তাদের মেধার স্বীকৃতী পাচ্ছে। তবুও আল্লাহ এদেশের মঙ্গল করুন, এদেশে সব দেশপ্রেমী শক্তির একত্রে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে উঠুক। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে যদি বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদল এর প্রধানদের সাধে বৈঠক করে সংকট উত্তোরনে কি করনীয় জানতে চেয়ে সরকারকে চাপ দিয়ে যেতেন তাহলে আমেরিকার গুরুত্ব এদেশে আরো বৃদ্ধি পেত। আমাদের দেশের ছেলেরা মোটেও জঙ্গি নয় কিছু দুই-একজন বিপদগামী ছেলের জন্য পুরো দেশের বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোকে দোষারোপ করা মোটেও সমীচিন নয়। এমনিতেই অনিশ্চয়তায় ভরা ভবিষ্যৎ পড়া-শুনা করেও ছেলেরা দেশছে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। দেশের প্রথম বে-সরকারী বিশ্ব বিদ্যালয় নর্থ-সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাথে নর্থ আমেরিকার বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোর সাথে এফিলিয়েটেড ভূক্ত ও শুনাম অর্জন করেছে। আজ দুরদেশ আমেরিকাও বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করে। এদেশটা হল মডারেট মুসলিম দেশ এখানে ছাত্রদের মাঝে জঙ্গি তৎপরতা যাতে কোন ভাবেই বীজ বপন করতে না পারে সে দিক অভিভাবক ও শিক্ষকদের মনোযোগ দেওয়া দরকার। আমার দু’টি ছেলে বড়জন নর্থ সাাউথ থেকে বিবিএ শেষ করে বের হয়েছে ছোট জনও নিজের চেষ্টায় ইকোনোমিক্স এ ভর্তি হয়েছে। আমরা যে শিখতে পারিনি বিশেষ করে আইটি সেক্টরে কিন্তু তাদেরকে দেখি তারা মেধা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক দুর এগিয়েছে যাতে আমার গর্ব হয়। এই দেশ এগিয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ। সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাহি ওসাল্লাম ১৪’শ বছর আগেই বলেছিলেন ”মধ্য পন্থা উত্তম পথ” আমরা বাংলাদেশের ছাত্রদের সেই পথেই ধাবিত করার চেষ্টা করব, এতে দেশ উপকৃত হবে।
মন্তব্য করুন