নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক, সমাধানের আশ্বাস টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর
আল আমিন আহমদ॥ গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল সিমের নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক। টাকা দিয়ে সিমে এমবি কিনে মোবাইল, কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না গ্রাহকরা।
উপজেলার পূর্ব জুড়ী ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি মোবাইলের নেটওয়ার্ক থেকে ও বঞ্চিত। পূর্ব জুড়ীর বিনন্দ পুর,গোবিন্দপুর,দূর্গা পুর,জামকান্দি, কালাছড়া, শুকুবস্থি, বাহাদুর কোনা, গোয়াল বাড়ি ইউনিয়নের কুচাই চা বাগান, কুচাই জালাই,হায়াছড়া, বেলবাড়ি কয়লার থল,শুকনাছড়া গ্রামের মানুষ একেবারেই বঞ্চিত আধুনিক এই সুযোগ সুবিধা থেকে।
বার বার অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পর ও কোন সুরাহা হয় নি। টাওয়ার না থাকার কারনে এসব এলাকার মানুষ ফোনে নেট পান না।প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষগুলো তাদের পরিবার পরিজনের সাথে কথা বলতে পারেন না অনাহাসে।বেশির ভাগ সময় কথা বলতে হলে, পরিবারের লোকজন ঘরের বাহিরে অন্যত্র এসে ফোনের অপেক্ষা করেন।
মঙ্গলবার ও বুধবার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এসব এলাকার মানুষের পক্ষে নেটওয়ার্কের সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন আহমেদ ও মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজের কাছে লিখিত চিঠি প্রেরণ করেন। তার এই চিঠির প্রেক্ষিতে বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সভায় নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে প্রদক্ষেপ গ্রহণের কথা আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
জায়ফর নগর গ্রামের বাসিন্দা, শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম কামন বলেন,দীর্ঘদিন আমাদের এলাকায় গ্রামীন ফোনের টাওয়ার ছিল না,আবেদনের প্রেক্ষিতে টাওয়ার হলে ও নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধান হয়নি।পাশাপাশি বিদ্যুৎ চলে গেলে সবকিছুর মত নেটওয়ার্ক ও অন্ধকার হয়ে যায়। অনেকবার আমরা তাদের অফিসে অভিযোগ করেছি, কোন সমাধান হয়নি।
পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের সদস্য শিবাকান্ত গোয়ালা জানান, পূর্ব জুড়ী ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম নেটওয়ার্ক বঞ্চিত। তারা বিদেশে কথা বলতে হলে ঘরের বাহিরে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে কথা বলে। এসব এলাকার মানুষকে ইন্টারনেট সেবা থেকে বাহিরে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে না। দ্রুত নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মন্তব্য করুন