নেদারল্যান্ডে ২১ টি কারাগার কয়েদির অভাবে বন্ধ
সাদেক আহমেদ॥ দৈনিক তৃতীয় মাত্রা নামের পত্রিকায় আমি পড়েছিলাম ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে যে, নেদারল্যান্ডে ২১ টি কারাগার কয়েদির অভাবে বন্ধ। এর প্রেক্ষিতে বলতে হয়, যাহা ভাবছিলাম এই সংবাদের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কারাগারগুলোর অত্যাধিক সীমা মহাসীমা পেরিয়ে মানুষ ধরে এনে কয়েদি বানিয়ে কারাগারগুলো ভরে ফেলা হয়েছে। হায়রে আল্লাহর সৃষ্টির সেরাজীব মানুষ বাংলাদেশে একি তোমাদের হাল হকিকর। কারাগারগুলোতে নাকি সন্ত্রাসীদের ধাপট যারা টাকা খরচে করে সব সুযোগ সুবিধা এমনকি নেশা জাতীয় ঔষধ অনায়াসে পাচ্ছে। বাহিরে যারা সন্ত্রাসে রাজত্ব করেছে যদিও তাদের সংখ্যায় হাতে গোনা তবু নিরীহ কয়েদিদের উপর তাদের প্রভূ সূলভ আচরণ গেলেই ভিতরে টাকা খরচ করে জমিদার স্টাইলে তারা অক্ষুন্ন রাখে সবই যে টাকার খেলা। বাংলাদেশের কারাগারগুলোকে উপছে পড়া কয়েদিদের ভিড় ৩/৪ গুনের বেশি কয়েদিদের অবস্থান তাও পুলিশের বেপরোয়া পুলিশি বাণিজ্যের কারনে সাধারণ মানুষকে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক বলির পাটা বানিয়ে তারা কারগারগুলোতে নিক্ষেপ করেছে। যখন নেদারল্যান্ড এর মতো দেশের সংবাদটি কারাগারগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে আমার চোখে এলো তখন ভাবলাম আমাদের দেশ থেকে নিরীহ কয়েদিদের জেলেও আমরা ঠিকমতো আবাসস্থল দিতে পারছি না। তাদেরকে যদি ঐ দিকে স্থানান্তর করা যেত তাহলে মহান আল্লাহর কাছে ওই নিরীহ কয়েদিদের দোয়া নেদারল্যান্ডের পক্ষে যেত। এছাড়া আমাদের দেশের পুলিশকে যদি নেদারল্যান্ড আমদানি করে তাহলে নেদারল্যান্ডেও পুলিশি গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কারাগারগুলোকে ভরে ফেলতে পারতো। এজন্য পুলিশকে বেতন না দিলেও হতো। আমি শুধু একজন জনগণের তৃতীয়পক্ষের হয়ে তৃতীয় মাত্রার নামের পত্রিকায় সংবাদে একটু যোজনা সংযুক্ত করলাম। প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার অধিকার আছে। আমরা আরেকটা সংবাদের দিকে বাংলাদেশের মানুষ এর চোখ নিশ্চয়ই গেছে তাহলো মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা বৎসরে মাত্র ১ ডলার বেতন নিবেন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। যেখা যাক তিনি ইমিগ্রেন্ট দেশ, বহু জাতির সম্মিলিস্থ গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়েছে। তার কল্যাণে, শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বলয়ে তিনি আমেরিকাকে কিভাবে বিশ্ববাসীকে নতুন ইমেজে আমেরিকাকে তুলে ধরেন সে দিকে আমরা চেয়ে থাকলাম। এছাড়া আমার বলার কিছুই নেই। বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, চীন ও আমেরিকান শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ ভুলে নতুন মেরুকরণে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকৃত জনগণের কল্যাণে বিশ্ববাসীকে নতুন আমেরিকা উপহার দেন তাহলে পূর্ববর্তী জর্জ ওয়াশিংটন থেকে জনএফ ক্যানেডি, মার্কিন লুথার কিং, আব্রাহাম লিংকন সহ আরো যারা আমেরিকার জন্য কাজ করে গেছেন তাদের সবার আত্মা শান্তি পাবে। এর সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ থেকে আমরা জনগণের লক্ষ্য আমেরিকার নির্বাচনের দিকে ছিল তাই গণতান্ত্রিক ভাবে বাংলাদেশ ও যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে বাঁচতে তথা সরকার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে তাই হোক ভবিষ্যতের স্বপ্ন। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনগণের কল্যাণ হোক এই দোয়া করি। আল্লাহ হাফেজ।
মন্তব্য করুন